পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বাস-বিজয় । به رن তৃতীয় অধ্যায়। পুনৰ্বিবাহের পর বাহকগণ নববধূ কামিনীকে যে বাটতে লইয়া গেল, তাহ অধিকাংশ হিন্দুদের বাটীর রচনাপ্রণালীক্রমে নিৰ্ম্মিত । দীর্ঘ প্রস্থে প্রায় চেত্রিশ হস্ত একটা সুন্দর অনাৱত উঠান আছে; উত্তরাভিমুখ হইয়া সেই উঠানে প্রবেশ করিতে হয় । সম্মুখে কালী, দুর্গ, কাৰ্ত্তিক প্রভৃতি দেবতা পূজা করিবার দালান উঠানহইতে অপেক্ষারুত উচ্চ। দালানে নানা প্রকার দেবদেবীর প্রতিমূর্তি আছে; তৎসমুদায় ধূলিধূসরিত ও অপরিস্কৃত অবস্থায় রছিয়াছে। কেবল উৎসবদিবসেই সেই সকল প্রতিমূৰ্ত্তি পরিস্কৃত, মার্জিত ও বিবিধ শোভাকর বস্তুতে সুসজ্জিত হইয়া থাকে। ঐ অনাৱত উঠানের চতুৰ্দ্দিকে ছাদযুক্ত অল্প পরিসর বারাণ্ড আছে, তাহাকে চকমিলান কহে । বারাণ্ডার পশ্চাভাগেই দুই সারি ছোট ছোট কুঠরী আছে। ঐ সকল কুঠরীতে ৰৈঠক ও মজলিস হইয়া থাকে, এব" বাটীর অবিবাহিত পুৰুষেরাই উহাতে শয়ন ও বিশ্রামাদি করে। বাটীর এই অংশের সমুদায় ভাগকে সদর বাটী বলে । বাহিরের লোকেরা কেবল এই খণ্ডই দেখিতে পায়। অন্যান্য মহল তাহাদের দৃষ্টিগোচর হয় না। দালানের পশ্চাতভাগে ঐ প্রকার অার একটা উঠান আছে, উহারও চতুৰ্দ্দিকে বারাণ্ড ও বারিকের মত কুঠরী সকল রহিয়াছে ৷ বাটীর এই খণ্ডকে অন্তঃপুর কহে । অন্তঃপুরহইতে সদর বাটীর উঠানে যাইবার একটা গুপ্ত পথ আছে।