পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বাস-বিজয় । ●● কথা বলা যাইতেছে, তৎকালে মহেন্দ্র বাবু সমারোহে তাহার বিবাহের উদ্যোগ করিতেছিলেন, তদ্বারা তাহার প্রভূত অর্থ ব্যয় হয়। এ দিকে র্তাহার চারি পুত্র, তন্মধ্যে তিন জন বিবাহিত হইয়াছিলেন। সূৰ্য্যকুমারের দুই ও চন্দ্রকুমারের এক পুঞ্জ ছিল । মহেন্দ্র বাবুর কনিষ্ঠা কন্যা হেমলতা, তাছার পত্নী ও তিনি স্বয়’, সমুদায়ে তাহার চব্বিশ জন পরিবার। এতদ্ব্যতীত অনেক দাস দাসীও ছিল । * প্রসমের পুনৰ্বিবাহের পর প্রায় তিন মাস অতীত হইলে, এক দিবস সূৰ্য্যকুমারের পত্নী সৌদামিনী অন্যমনস্কা হইয়া বারাণ্ডাতে বসিয়া অাছেন, আর র্তাহার শিশু সন্তান গোপাল তদীয় পাঁশ্বে শয়ন করিয়া রহিয়াছে। এমন সময়ে কামিনী একখানি রামায়ণ পুস্তক হস্তে লইয়া আপনার কুঠরীহইতে বহির্গত হইলেন ; এবং তথায় উপস্থিত হইয়া বারাণ্ডার রেলে ঠেস দিয়া ভূমিতেই বসিলেন । অনন্তর বাঙ্গালিরা যে প্রকার বিশেষ স্বরে বাঙ্গালা কাব্য পাঠ করিয়া থাকে, সেই ৰূপ স্বরে তিনি রামায়ণ পাঠ করিতে আরম্ভ করিলেন। সৌদামিনী বলিলেন, “কামিনি! তোমার এই পুস্তক দেখিয়া আমার স্মরণ হইতেছে যে আমি তোমার নিকট শিবপূজা শিক্ষা করি, এবং তুমি যে ৰূপ প্রতিদিন প্রাতঃকালে শিবপূজা করিয়া থাক, সেই ৰূপ আমিও করি, ইছা গোপালের পিতার নিতান্ত অভিপ্রেত।” কামিনী বলিলেন, “দিদি! তুমি স্বয়” পাঠ করিতে অভ্যাস কর, তাহা হইলে শাস্ত্ৰে ষে, সকল পুজার বিধি আছে, তৎসমুদায়ই সম্পন্ন করিতে