製ーグ বিশ্বাস-বিজয় । তাছা হইলে একবার আলিয়া দেখা দেও।” কামিনী হাছাকার ও শিরে করাঘাত করিয়া, এবম্বিধ নানা প্রকার বিলাপ ও পরিতাপ করিতে লাগিলেন। হিন্দু মহিলারা এই ৰূপে উন্মত্তবৎ বিলাপ করিয়া থাকেন বটে, কিন্তু শতের মধ্যে এক জন তাদৃশ শোক অন্তঃকরণে অনুভব করেন কি মা সন্দেহ। যাহা হউক, কামিনীর সে ৰূপ হয় নাই; তিনি আস্তরিক ব্যথিত হইয়াছিলেন । কামিনীর দুঃখে দুঃখিত এবং আপনারাও অত্যন্ত চিন্তাকুল হইয়া, প্রসম্নের ভ্রাতৃত্ৰয় তাহার অন্বেষণে বহির্গত হইলেন। প্রত্যেক বিদ্যালয়, ও প্রসন্ন সৰ্বদ যে ২ স্থানে যাতায়াত করিতেন,তাহারা তৎসমুদায়ে অন্বেষণ করিয়া তাহাকে কোথাও দেখিতে পাইলেন না। অবশেষে রামদয়ালের বাট সূর্য্যকুমারের মনে পড়িল। র্তাহারা সকলে তথায় গমন করিয়া তাহাকে দেখিতে পাইলেন না। কিন্তু রামদয়াল র্তাহাদিগকে বলিলেন, “প্রসন্ন খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মাবলম্বনে ক্লতসকল্প হইয়া এক জন খ্ৰীষ্টান্ আচার্য্যের বাটীতে আছেন।” এই কথা শুনিয়া তাহীদের হৃদয়ে যেন বজ্ৰাঘাত হইল। তাহারা দ্রুতগমনে গৃহে আসিয়া এই সম্বাদ দিলে, তথায় হুলস্থূল পড়িয়া গেল। মহেন্দ্র বাবু ও তাহার স্ত্রী যার পর নাই দুঃখিত হইলেন। র্তাহারা দুঃখে অভিভূত হইয়া-বলিতে লাগিলেন, “হায়! আমাদের সন্তান ভূতগ্রস্ত ও জলমগ্ন হুইয়া, অথবা অন্য যে কোন প্রকারে হউক, মরিলে, ইহা অপেক্ষা ভাল হইত। আমাদের বংশের মর্য্যাদা নষ্ট হইল! আমাদের পুত্র অপর জাতিকে বিক্রয় করিলাম! পুপ্রবধূ বিধবা হইলেন। জাতি
