পাতা:বিশ্বাস বিজয়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বাস-বিজয় । b. * একটা শিরা হঠাৎ ছিন্ন হইয়াছিলু চন্দ্রকুমার, এখনও তাহাই হইয়াছে, বিবেচনা করিলেন ; এব° ভাবিলেন, প্রসন্ন শোণিতস্রাবে দুর্বল হইয়া কোথায় পড়িয়া আছেন, বাটীতে সম্বাদ দিতে পারেন নাই। কামিনীর অন্তঃকরণে নানা প্রকার শঙ্কা হইতে লাগিল। না জানি কি সৰ্বনাশ হুইয়াছে, এই ভাবিয়া, তিনি শ্বশ্রীর পদতলে নিপতিত হইলেন ; এবং পতির অন্বেষণে চতুর্দিকে লোক পাঠাইতে অনুরোধ করিলেন। তিনি বলিতে লাগিলেন, “ হায়! লোকাচারের বশবৰ্ত্তিনী হইতে না হইলে; আমি কেমন ইচ্ছা পূর্বক প্রিয়তমের অন্বেষণে বাহির হইতাম! পূর্বে এই সমুদায় লোকাচার ক্লেশকর বিবেচনা করি নাই বটে, কিন্তু এক্ষণে অার অামার সহ্য হয় না।” এই কথা বলিতে ২ তাহার নয়নযুগলহইতে অনর্গল অশ্রুধারা নির্গত হইতে লাগিল । “ হাঁ প্রিয়তম! তুমি প্রত্যারত্ত না হইলে আমি কেমন করিয়া জীবন ধারণ করিব ! হা জীবিতেশ্বর! তুমি আtমাকে সমভিব্যাহারিণী করিলে না কেন ? আমি তোমার সঙ্গে বৃক্ষমূলে বাস ও বিহঙ্গভক্ষ্য ফল আহার করিয়াও পরম সুখে থাকিতাম। তোমার বিরহে এই অট্টালিকা অামার মৰুভূমি বোধ হইতেছে। যেমন চাতকী মেঘায়ু পান করিবার নিমিত্ত আকাশের প্রতি চাহিয়া থাকে, তদ্রুপ আমার মন তোমারুচন্দ্রানন দর্শন করিবার নিমিত্ত অস্থির হইতেছে । হে নাথ! আমার হৃদয় তোমারই অধীন, তুমি আসিয়া এই অধীনীকে দেখা দেও ! তোমার বিরহে অামার সমুদায় সুখ অকিঞ্চিৎকর বোধ হইতেছে। প্ৰাণেশ্বর! যদি এ দাসীকে জীবিত রাখিবার ইচ্ছা থাকে,