বিষবৃক্ষ مهما তখন নগেন্দ্র বৈঠকখানায় বসিয়া কি ভাবিতেছিলেন ? ভাবিতেছিলেন, “কুন্দ नन्नैिौ । कून श्राभाद्र ! कून जांभांज़ शै। कून ! कून ! कून ! cन थांभाव्र !” कारश् জীশচন্দ্র আসিয়া বসিয়াছিলেন—ভাল করিয়া তাহার সঙ্গে কথা কহিতে পারিতেছিলেন ন। এক একবার মনে পড়িতেছিল, “সূর্য্যমুখী উদ্যোগী হইয়া বিবাহ দিয়াছে—তবে আমার এ সুখে আর কাহার আপত্তি ” সপ্তবিংশ পারচ্ছেদ স্বৰ্য্যমুখী ও কমলমণি যখন প্রদোষে, উভয়ে উভয়ের নিকট স্পষ্ট করিয়া কথা কহিতে সমর্থ হইলেন, তখন সূৰ্য্যমুখী কমলমণির কাছে নগেন্দ্র ও কুন্দনন্দিনীর বিবাহবৃত্তান্তের আমূল পরিচয় দিলেন। শুনিয়া কমলমণি বিস্মিত হইয়া বলিলেন, “এ বিবাহ তোমার যত্বেই হইয়াছে—কেন তুমি আপনার মৃত্যুর উদ্যোগ আপনি করিলে?” সূৰ্য্যমুখী হাসিয়া বলিলেন, “আমি কে ?”—মৃদ্ধ ক্ষীণ হাসি হাসিয়া উত্তর করিলেন, —বৃষ্টির পর আকাশপ্রান্তে ছিন্ন মেঘে যেমন বিদ্যুৎ হয়, সেইরূপ হাসি হাসিয়া উত্তর করিলেন, “আমি কে ? একবার তোমার ভাইকে দেখিয়া আইস–সে মুখভরা আঞ্জাদ দেখিয়া আইস —তখন জানিবে, তিনি আজ কত সুখে সুখী। র্তাহার এত সুখ যদি আমি চক্ষে দেখিলাম, তবে কি আমার জীবন সৃার্থক হইল না? কোন হুখের আশায় র্তাকে অসুখী রাখিব ? যাহার এক দণ্ডের অমুখ দেখিলে মরিতে ইচ্ছা করে, দেখিলাম দিবারাত্র তার মৰ্ম্মান্তিক অসুখ—তিনি সকল সুখ বিসর্জন দিয়া দেশত্যাগী হইবার উদ্যোগ করিলেন—তবে আমার মুখ কি রহিল ? বলিলাম, "প্ৰভু ! তোমার সুখই আমার সুখ —তুমি কুন্দকে বিবাহ কর–আমি সুখী হইব'-তাই বিবাহ করিয়াছেন।” কমল। আর, তুমি মুখী হইয়াছ ? সূৰ্য্য। আবার আমার কথা কেন জিজ্ঞাসা কর, আমি কে ? যদি কখনও স্বামীর পায়ে কাকর ফুটিয়াছে দেখিয়াছি, তখনই মনে হইয়াছে যে, আমি ঐখানে বুক পাতিয়া দিই নাই কেন, স্বামী আমার বুকের উপর পা রাখিয়া যাইতেন।
পাতা:বিষবৃক্ষ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৩
অবয়ব