পাতা:বীরবলের হালখাতা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y (2 b7 বীরবিলের হালখাতা যে, লেখবার বিষয়ের অভাব্যবশতই লেখবার পদ্ধতির বিচারই আমাদেৱ দায়ে পড়ে করতে হয়। এ সম্বন্ধে আমার দুটি কথা বলবার আছে। আমার মতে ছোটোগল্প প্ৰথমে গল্প হওয়া চাই তার পরে ছোটো হওয়া চাই ; এ ছাড়া আর-কিছুই হওয়া চাই নে। যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন যে “গল্প” কাকে বলে, তার উত্তর ‘লোকে যা শুনতে ভালোবাসে’ । আর যদি কেউ জিজ্ঞাসা করেন 'ছোটো” কাকে বলে, তার উত্তর ‘যা दgg sभू' । এর উত্তরে পাঠক আপত্তি করতে পারেন যে ডেফিনিশনটি তেমন পরিষ্কার হল না। এ স্থলে আমি ছোটোগল্পের তত্ত্ব নির্ণয় করবার চেষ্টা করছি। এবং আশা করি সকলে মনে রাখবেন যে তত্ত্বকথা এর চাইতে আর পরিষ্কার হয় না । এর জন্য দুঃখ করবারও কোনো কারণ নেই ; কেননা, সাহিত্যের তত্ত্বজ্ঞানের সাহায্যে সাহিত্য রচনা করা যায় না। আগে আসে বস্তু, তার পরে তার তত্ত্ব । শেষটি না থাকলেও চলে, কিন্তু প্ৰথমটি না থাকলে সাহিত্যজগৎ শূন্য হয়ে যায়। এ বিপদ যে সুমুখে নেই, তাও ভরসা করে বলা চলে না । কেননা, মাসিকপত্রে লেখবার লোক অনেক থাকলেও তাদের লেখবার বিষয় অনেক নেই ; আর লেখবার বিষয় অনেক থাকলেও তা লেখবার অনেক লোক নেই। ফলকথা, সাহিত্যের প্রবৃদ্ধি হয় যোগে, আর তার শ্ৰীবৃদ্ধি হয় গুণে । थs S७२७