পাতা:বুদ্ধিমালা - প্রথম ভাগ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} ১৯ { -ن মাত অতি সান্ধী ছিলেন, পরমেশ্বর তাহীকে বিধবাব্রত পালনের দুরূহ কষ্ট সহ্য করিতে বহু দিবস, জীবিত রাখেন নাই, পিতার মৃত্যুর ত্রিদিবসাভ্যন্তরেই তিনিও স্বৰ্গারোহণ করিলেন । । - ; : আমি পিতার মানবলীলা-সম্বরণে অতিশয় বিষাদিত কই নাই, কিন্তু এক্ষণে মাতার মরণে চতুর্দিক শূন্য দেখিতে লাগিলাম ; আত্মীয়স্বজন এমন আর কেহ ছিল না যে, আমাকে রক্ষণাবেক্ষণ করে। প্রতিবাসীরা আসিয়া অনেক বুঝাইলেন অনেক আশ্বাস দিলেন, কিন্তু তখন কোন মতেই ধৈর্য্যাবলম্বন করিতে পারিলাম না। শোক কিছু চিরকাল থাকে না, শেষে ক্রমে২ প্রায় সমুদায় শান্তি প্রাপ্ত হইল। কিন্তু গৃহে কেহ নাই দেখিয়া মনঃ অতিবাদ উদাস হইল, একারণ কেবল ভোজনকাল ব্যতীক্ত প্রায় আর সকল সময়েই সোমনাথ পটনে থাকিতাম। পিতার সে সমস্ত উপদেৰ শুদ্ধ আদর্শন করিয়াছিলাম তাহাতে কিঞ্চিন্মত্রও মনঃসংযোগ করি নাই, কেবল কতিপয় সমবয়স্ক জ্ঞাতিসমভিব্য{হারে আমোদ প্রমোদ করিয়া কালহরণ করিতাম। সোমনাথ পটনে কোন দ্রব্যেরই অভাব ছিল ন, নিত্য সুতন২ উৎসবে কোন ইন্দ্রিয়েরই চরিভার্থত। লাভের অভাব রহিল না । তখন আপনাকে পরম ভাগ - বান ও পিতাকে নিৰ্ব্বোধ বলিয়া জ্ঞান জন্মিল । গুজরাট নগরে রজঃপুত নামে এক সম্প্রদায় আছে । তাহার। অত্যন্ত শুদ্ধাচারি, কোন প্রকার কলঙ্ককর কর্মের নামগন্ধসংশ্রবে থাকে না। আমার দুরদৃষ্টক্রমে একদিবস