পাতা:বুদ্ধিমালা - প্রথম ভাগ.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪৩ ] চারীর জাৰ্গত হইলে, রাজ রাজকাৰ্য্য-পর্য্যালোচনায় রত হইলেন দেখিয় দুষ্টের বহুক্ষণ বিলম্ব সহ্য করিতে পারিল ন সুতরাং স্বস্ব স্থানে প্রস্থান করিম ; রাজাও তাহাদিগকে কোন অনুরোধ করিলেন মা। রাজপরিবার ও মন্ত্রিবগ" অকস্মাৎ রাজার স্বভাব-শোধনের এই সুলক্ষণ বিলক্ষণ রূপে নিরীক্ষণ করিয়া মহাশ্চর্য হইলেন, এবং ভূপালকে মুক্তম সৃষ্টের ন্যায় বোধ করিলেন ; কিন্তু কি রূপে এক রজনী মধ্যে এই সৌভাগ্য সঞ্চিত হইল, তাহার বিন্দু বিসগও কেহ জমিতে পারিল না । এক রস হইতে অনা রসপানে প্রবৃত্ত হইলে প্রথমব অত্যন্ত অনুরাগ জন্মে । মহারাজও আপন প্রেয়সীর প্রমুখাং সংকথার স্বল্পমাত্র রসাস্বাদন করিয়া একাগ্রচিত্ত হইয়াছিলেন ; রাজকৰ্ম্মে ব্যাপৃত হইয়া অধিক কাল থাকিতে পারিলেন না, কিয়ং ক্ষণ পরেই সভা ভঙ্গ করিয়া অন্তঃপুরে প্রয়াণ করিলেন। অমাতাগণ যথারীতি রাজকাৰ্য্য নির্বাহ করতে লাগিল। . রাজা অন্তঃপুর-প্রবেশ পূর্বক রাজ্ঞীর করস্কবাহিনী চন্দ্রমালার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া জিজ্ঞাসিলেন অয়ি চন্দ্রমালে “তুমি জানরাণী এইক্ষণ কোথায় কি করিতেছেন?” । সে কহিল মহারাজ ! “তিনি সর্থীগণসহ স্বীয় মন্দিরে নাম প্রসঙ্গে আছেন, আমি তাম্বল প্রদান করিয়| তথা হইতে এই আগমন করিতেছি। ” তচ্ছ বণে রাজা পটমহিষীর মন্দিরে গুপ্তভাবে প্রবেশ করিয়া অন্তরালে লুক্কায়িত হ: ইয়া দেখিতে লাগিলেন। রাজ্ঞী অমাত্য-ছুহিত প্রভৃতি কতিপয় সঙ্গিনী সহিত কথোপকথনে প্রবৃত্তা আছেন।–