পাতা:বুদ্ধিমালা - প্রথম ভাগ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8s অমাত্য-দুহিতার নাম হেমলতা; তাহার রূপলাবণ্য অতি কমনীয়,সেই ঋজু স্বভাব ললন অতিশয় সুচতুর ও সুপ fগুত। সে মিষ্ট-বাক্যে শিষ্টলৈাপ করিতে নানাবিধ বিশিষ্ট প্রসঙ্গের পর কহিল রাজমহিষ ! “অদ্য প্রত্যুষে গাত্রোথান পুৰ্ব্বক সুশীতল অনিল-সেবন করিতেই পুরোহিতদিগের বাটতে গমন করিয়াছিলাম, তথায় চূড়ামণি পুরোহিত মহাশয়ের অঙ্গজ| বিছু্যত্নতার এক বৃহদ্ব্যাপার দর্শনে চমৎকৃত হইয়াছি। ” তখন বুদ্ধিমালা অত্যন্ত ব্যগ্রচিত্ত হইয়। জিজ্ঞাসা করিলে হেমলতা কহিল সখি ! “ আমি প্রাতঃকালে চূড়ামণির আলয়ে উপস্থিত হইলে, কিছু্যত্নতা আমাকে সমাদর পূর্বক আসন পরিগ্রহ করাইয়। অতি বিনীতভাবে বলিলেন গঙ্গাজল ! “ আমার নিত্যকৰ্ম্ম শেষ করিতে কিঞ্চিৎ শেষ আছে, তুমি ক্ষণেক বিলম্ব কর ; আমি ত্বরায় প্রত্যাগমন করিতেছি। ” এতদ্রুপ সুধারূপ বাক্য বিতরণে আমাকে পরিতুষ্ট করিয়া নিত্যক্রিয়৷ সাধনে মনোনিবেশ করিলেন – করিয়া প্রথমে এক মৃগচৰ্ম্মাসন বিস্তার পূর্বক তদুপরি উপবিষ্ট হইয়া কর্ণ ও নাসিকার", তুলাদ্বার, এবং লোচনদ্বয় বস্ত্র দ্বার আবদ্ধ করিয়া স্থির ভাবে রহিলেন ; কিঞ্চিং বিলম্বে দক্ষিণ হস্ত ও বাম চরণ উত্তোলন পুৰ্ব্বক দণ্ডায়মান থাকিলেন। আমি ঐ প্রকার ভাবভক্তি বিলোকনে বিরক্ত হইতে লাগিলাম ; কি করি, বিলম্ব করিতে স্বীকার করিয়াছি, পুনরায় চক্ষুষ ভিন্ন প্রত্যাগমন করিতে পারি না, সুতরাং ন যযৌ ন তস্থে হইয়। অবস্থিতি করিতে লাগিলাম। বহুক্ষণ পরে তাহার সে