বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৷৹

করিয়া দিয়া যান। আমাদের অন্তর আত্মাকে প্রাণ দিয়া যান, আমাদের আত্মাকে খাদ্য দিয়া যান; এই পৃথিবীর মাটিতে যে রস আছে, আকাশে যে সার আছে তাহাতো আমরা গ্রহণ করিতে পারি না। বৃক্ষগণ নিঃশব্দে বসিয়া বসিয়া তাহা গ্রহণ করে এবং আমরা বৃক্ষমণ্ডলীর উপার্জ্জিত ফল মূল পত্র কাণ্ড গ্রহণ করিয়া প্রাণ রক্ষা করি। আকাশে এবং মাটিতে যে সার আছে তাহা নির্জীব (Inorganic), তাহাতে জীবন সঞ্চার করিয়া সজীব (Organic) করে কে?—ঐ পাদপমণ্ডলী। জীব ও জড়ের মাঝখানে দাঁড়াইয়া তাহারা ক্রমাগত জড়লোক হইতে সকল সার লইয়া জীব মাত্রের গ্রহণীয় করিয়া দিতেছে। বৈষ্ণবেরা ভক্তকে বৃক্ষের ন্যায় বলিয়াছেন। এই বৈজ্ঞানিক রহস্যটুকু তবু তাঁহারা জানিতেন না।

 জগতে এমন কত কত জ্ঞানগম্য সত্য আছে যাহাতে জীবন সঞ্চার করা হয় নাই। তাহা আমরা জ্ঞানে জানি কিন্তু অন্তরে গ্রহণ করিতে পারি না। এই সব মহাপুরুষ সেই সব নির্জ্জীব সত্যকে সাধন করিয়া তাহাতে জীবন সঞ্চার করিয়া দেন, তখন সকলেই সেই সত্যকে গ্রহণ করিতে পারে। তৃণভোজনে অসমর্থ প্রাণীর জন্য গাভী তৃণ ভোজন করিয়া উধোভাণ্ডে দুগ্ধ সঞ্চার করে; অনুগ্রহণে অসমর্থ শিশুর জন্য মাতা স্তনে অমৃতরস ভরিয়া তোলেন। তখন জীবকুল পরিতৃপ্ত হয় এবং শিশুকুল বাঁচিয়া যায়।

 পরমেশ্বর সর্ব্বলোক চরাচরের পিতা, জ্ঞানে এই কথা কে না জানে? কিন্তু মহাপুরুষ খৃষ্ট আসিয়া পুত্রকে সাধন করিলেন আর অমনি জগদ্‌বাসী কত লোক ভগবানকে পিতা বলিয়া গ্রহণ করিয়া বাঁচিয়া গেল। ভগবান ত্রিলোকের পতি সকলেই জানে,