কাষ্ঠ দ্বারা আগুন জ্বালাইবার চেষ্টা নিশ্চয়ই ব্যর্থ হইবে। অতএব কৃচ্ছ সাধনা ক্লেশদায়ক, অনাবশ্যক এবং নিস্ফল।
যতদিন মানুষের অহংকার দূর না হয়, যতদিন ইহলোকের কিংবা পরলোকের সুখভোগের প্রতি তাহার মনের আকর্ষণ থাকে, ততদিন তাহার তপশ্চর্য্যা পণ্ডশ্রমমাত্র। যিনি অহংকারকে জয় করিতে পারিয়াছেন, তিনি স্বর্গমর্ত্ত্যের কোনো সুখভোগই কামনা করেন না। শরীরের প্রয়োজন মিটাইবার জন্য পরিমিত পানাহারে তাঁহার মন কদাচ কলুষিত হইবে না।
পদ্ম সরোবরের মাঝখানেই বাস করে, কিন্তু জল তাহার দলগুলিকে সিক্ত করিতে পারে না।
পক্ষান্তরে, যাবতীয় ইন্দ্রিয়পরায়ণতাই শরীর ও মনকে দুর্ব্বল করে। ইন্দ্রিয়পরায়ণ ব্যক্তি প্রবৃত্তির দাস। ইন্দ্রিয়ের সুখতৃপ্তির আকাঙ্ক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্বহীন ও নীচ করিয়া থাকে।
তাই বলিয়া যুক্ত পান ও আহার অকল্যাণকর নহে। শরীরকে সুস্থ সবল রাখা একান্ত কর্ত্তব্য। শরীর সবল না হইলে কেমন করিয়া আমরা জ্ঞানের বাতি জ্বালাইব এবং মনকে বলিষ্ঠ ও নির্ম্মল করিয়া তুলিব? ভিক্ষুগণ, ইহাই মধ্যমার্গ। সর্ব্বদা উভয়বিধ আতিশয্য হইতে দূরে থাকিবে।
তথাগত কহিলেন—যিনি দুঃখের অস্তিত্ব, ইহার উৎপত্তির কারণ এবং নিবৃত্তির উপায় সত্যভাবে উপলব্ধি করিয়াছেন, তিনিই মুক্তির সরলপথ অবলম্বন করিয়াছেন। সম্যক্ দৃষ্টি তাঁহার আলোক-বর্ত্তিকা, সম্যক্ সংকল্প তাঁহার পথপ্রদর্শক, সম্যক্ বাক্য তাঁহার পথিমধ্যস্থিত প্রতিষ্ঠানক্ষেত্র। তাঁহার গতি সরল,