পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বুদ্ধের জীবন ও বাণী

 (৪) এই দুঃখনিবৃত্তির উপায় আটটি, যথা—সম্যক্ দৃষ্টি, সম্যক্ সঙ্কল্প, সম্যক্ বাক্, সম্যক্ কর্ম্মান্ত, সম্যগাজীব, সম্যক্‌ ব্যায়াম, সম্যক্ স্মৃতি ও সম্যক্ সমাধি।



ষষ্ঠ অধ্যায়

——:০:——

বুদ্ধ ও তাঁহার পঞ্চ শিষ্য

 মুক্তির বিমল আনন্দে বুদ্ধের অন্তর পূর্ণ হইল। যে বনস্পতিমূলে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করিয়াছেন, তথায় একাকী তিনি সাত সপ্তাহ তাঁহার নবলব্ধ অমৃত-উৎসের রসধারা নীরবে সম্ভোগ করিলেন।

 বুদ্ধদেব এখন বিশ্বব্যাপী আনন্দ ও অমৃতের আস্বাদন পাইয়াছেন। সকল সংস্কার ও সকল বাসনার বিলোপ দ্বারা তিনি নির্ম্মল আনন্দ ও শাশ্বত জীবনলাভ করিয়াছেন।

 নির্ব্বাণের এই মঙ্গলবাণী তিনি কেমন করিয়া সকলের বোধগম্য করিবেন, ইহাই এখন তাঁহার ভাবিবার বিষয় হইল। যাঁহার মন হইতে অহংবুদ্ধি নিঃশেষে দূরীভূত হয় নাই, তিনি কোনমতেই পরিপূর্ণ শান্তি লাভ করিতে পারেন না; এই বুদ্ধিই সমস্ত পাপ, সমস্ত অকল্যাণ, সমস্ত ভ্রান্তিতির উৎস। একখণ্ড মেঘ যেমন বৃহৎ সূর্য্যকে দৃষ্টির আড়াল করিয়া দেয় অহংবুদ্ধি তেমনি বিশ্বব্যাপী আনন্দকে অদৃশ্য ও অবোধ্য করিয়া রাখে।

৩০