ર(thr বৃহদারণ্যকোপনিষ । যতঃ শোক-মোহাদি দোষনিচয় স্বতই ভ্রান্তিজ্ঞানপ্রস্থত ; আর আত্ম-বিষয়ক স্মৃতিধারা হইতেছে সেই শোক, মোহ, ভয়, শ্রম ও দুঃখাদি সমস্ত দোষের নিবর্তক। দেখ, শ্রুতিও সে কথা বলিতেছেন—‘আত্মদর্শন হইলে পর, তাহার আর শোকই বা কি, আর মোহই বা কি ? আত্মজ্ঞ পুরুষ কোথা হইতেও ভীত হন না', 'হে জনক, তুমি অভয় (ব্রহ্ম ) লাভ করিয়াচ’, ‘হৃদয়ের গ্রন্থি-কামরাগাদি দোষ নষ্ট হইয়া যায়’ ইত্যাদি। ২৬ ভাল, তাহা হইলেও, নিরোধ ত ইছা হইতে অতিরিক্তই বটে,--অর্থাৎ চিত্ত্বের বৃত্তিনিরোধ যখন বেদবাক্যজনিত আত্ম-বিজ্ঞান হইতে পৃথক পদার্থ, এবং অপরাপর শাস্ত্রেও যখন উহার কৰ্ত্তব্যতা বিজ্ঞাপিত আছে, তখন উহার জন্য ত বিধির আবশ্যক হয় ? না, এ কথাও সঙ্গত হয় না ; কারণ, চিত্তবৃত্তি-নিরোধের মোক্ষসাধনত্ব বোঝা যায় না ; কেন না, বেদান্তশাস্ত্রে একমাত্র ব্রহ্মাস্তু-জ্ঞান ভিন্ন আর কিছু যে, পরমপুরুষাৰ্থ—মোক্ষের সাধন আছে বা থাকিতে পারে, তাহা ত দেখ৷ যায় না ; কেন না, ‘আত্মাকেই অবগত হইয়াছিলেন, ‘তাঁহাতেই সৰ্ব্বাত্মভাব প্রাপ্ত হইয়াছিলেন ‘ব্রহ্মবিত পুরুষ ব্রহ্মকে প্রাপ্ত হন সেই যে কেহ পরব্রহ্মকে জানেন, তিনিও ব্রহ্মই হন, উপযুক্ত আচাৰ্য্যবান পুরুষই জ্ঞানলাভ করেন, তাহার সেই পরিমাণই বিলম্ব’ ‘যিনি এই তত্ত্ব জানেন, তিনিও অভয় ব্রহ্মস্বরূপ হন’ ইত্যাদি শত শত শ্রতি হইতে এ কথা জানা যাইতেছে। চিত্তবৃত্তি-নিরোধের অনন্তসাধনত্বও ইঙ্গর অপর হেতু,—আত্মজ্ঞান ও তদ্বিষয়ক স্মৃতিধারা (চিন্তাপ্রবাহ ) ব্যতীত, চিত্তবৃত্তি-নিরোধের যে, অপর কোনও উপায় আছে, তাহাও নহে ; (পরন্থ উহাই চিত্তবৃত্তি-নিরোধের একমাত্র উপায় )। আর চিত্তবৃত্তিনিরোধের যে, মোক্ষসাধনত বলা হইয়াছে, তাহাও কেবল অভু্যপগম বা স্বীকার করিয়া লওরা চইয়াছে মাত্র ; প্রকৃতপক্ষে কিন্তু একমাত্র ব্ৰহ্মজ্ঞান ব্যতীত আর কিছুই মোক্ষসাধন আছে বলিয়া স্বীকৃত হয় না । ২৭ - - বিশেষতঃ আকাঙ্ক না থাকাতেও এখানে ‘ভাবনা’ বা ৰিধিকল্পনা সম্ভব হইতে পারে না। পূৰ্ব্বে যে, বলা হইয়াছে,—“ষজেত” ইত্যাদি ক্রিয়াবিধিস্থলে যেরূপ ‘কি, কিসের দ্বারা? এবং কি প্রকারে ? এই তিনটি বিষয় জানিতে ইচ্ছা হয় বলিয়া, ফল, ফল-সাধন ( যাহা দ্বারা ফল লাভ হয় ) ও তাহার অনুষ্ঠান প্রণালীর নির্দেশ দ্বারা সেই আকাঙ্ক্ষার অপনয়ন করা হইয়া থাকে, তেমনি এখানে এই আত্মবিষয়ক বিজ্ঞানবিধিতেও ঐ সমস্ত নিয়মই উপপন্ন হইতে পারে। न,-6न कथां७ नक्रड रत्र न; cरून न, डिनि निककरे ७क चरिडीद्र' 'कृषि
