পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহৎকথা । אי: করিয়া ভূরে নিক্ষেপ করিল। ওদিকে রাত্রি শেষে বণিকপুত্রের সংজ্ঞাপ্রাপ্ত হইয় আপনাদিগের অবস্থা দর্শনে অত্যন্ত লজ্জাগ্রস্ত হইল এবং পাছে লোকে ললাটের চিকু দেখিতে পায় এ জন্য মস্তকে এক এক উষ্ণীশ বন্ধন করত গোপনে স্বদেশে প্রস্থান করিল। তখন দেবস্মিতা ভাবিলেন, দুরাত্মা বণিকের পাছে স্বদেশে গিয়া ক্রোধে আমার পতির কোন অত্যা-. চার করে, অতএব কোন রূপে তাহার প্রতিবিধান করা কৰ্ত্তব্য । ইহা মনে করিয়া শ্বশ্ৰুর নিকটে গিয়া ঐ সকল বৃত্তান্ত বর্ণন করাতে তাহার শ্বশ্ৰু কহিলেন, হে পুস্ত্ৰি ! যাহা করিয়াছ ভাহা সাধু কাৰ্য্যই করিয়াছ, কিন্তু পাছে আমার বিদেশস্থ পুত্রের কোন অনিষ্ট হয়, তাহার উপায় কি । ইহা শুনিয়া দেবস্মিত কহিলেন, যেমন শক্তিমতী । নামে এক স্ত্রী তাহার স্বামীকে রক্ষা করিয়াছিল, আমিও ভদ্রপ স্বামীকে বিপদ হইতে রক্ষা করিব । ইহাতে শ্বশ্ৰু ঐ শক্তিমতী বৃত্তান্ত শুনিতে বাসন করাতে দেস্মিতা কহিলেন, শ্রবণ কর । - শক্তিমতীর বিবরণ। আমার পিতৃ গৃহের নিকটবৰ্ত্তী এক গ্রামের মধ্যস্থলে একটা মন্দির আছে, তন্মধ্যে এক ক্ষুদেবের প্রতিমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত আছে। অত্রত্য লোকে কামনা সিদ্ধির নিমিত্তে ঐ যক্ষদেবের পূজা করিয়া থাকে। তদেশীয় রাজার এমত শাসন আছে, যে রাত্রিকালে পরস্ত্রীর সহিত