পাতা:বৃহৎকথা - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রহৎকথা । 8& প্রতিপালন করন, নতুবা এ বালক পূর্ব হইতে এত কৃশ কেন হইল ? ইহাতে বিপ্ৰপত্নী কহিল, আমি ইহাকে স্বীয় সন্তান হইতেও স্নেহ করিয়া প্রতিপালন করি, তথাপি যে এ কেন এরূপ কৃশ হইতেছে, কিছুই বুঝিতে পারি না। ইহা শুনিয়া রুদ্রশৰ্ম্ম “তবে এ বালকের স্বভাবই এইরূপ” ইহা বিবেচনা করিয়া, স্নেহের সহিত প্রতিপালিত হওয়াতেও বালকের শরীর বিনষ্ট হইতেছে মনে করিয়া তাহার নাম রাখিলেন বালবিনষ্টক । এই রূপে কিয়দিবস গতে বালবিনষ্টকের কিঞ্চিৎ বয়োবৃদ্ধি হইলে সে বিবেচনা করিল, বিমাতা আমাকে সৰ্ব্বদা কষ্ট দেয়, ইহার কোন রূপ প্রিতিক্রিয়া করিতেই হইবে, তাহার উপায় কি, চিন্তা করিয়া নির্জনে পিতার নিকট গিয়া প্রত্যহ কহিতে আরম্ভ করিল, পিতঃ ! আমার দুই পিতা আছে। এই রূপ প্রত্যহ শ্রবণ করিতে করিতে রুদ্রশৰ্ম্ম মনে করিলেন, যখন অবোধ বালক প্রত্যহ এরূপ কহিতেছে, তখন বোধ হয় আমার পত্নীর উপপতি থাকিতে পারে, তাহার সন্দেহ নাই। ইহা মনে করিয়া পত্নীর প্রতি তিনি ক্রমশ অত্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করিতে লাগিলেন। তখন বিপ্ৰপত্নী মনে করিলেন, বিনা দোষে পতি যে আমার প্রতি এরূপ রুষ্ট হইয়াছেন, ইহার কারণ আর কিছুই দেখিতেছি না, অবএব বোধ হয় বালবিনষ্টক ইহঁর নিকট আমার কোন প্রকার গ্লানি করিয়া থাকিবেক । অনন্তর বিপ্ৰপত্নী সাদরে বালবিনষ্টককে ক্রোড়ে লইয়া