পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S O RR বৃহৎ বঙ্গ পিতা মহারাজের এই অভিপ্ৰায় ছিল। রত্নফার মাতা পুত্ৰ-বিরহে যে বিলাপ করিয়াছিলেন, তাহা লইয়া অনেক পল্লীগাথা রচিত হইয়াছিল ( “তান মাতা মনঃ দুঃখে কঁাদিল বিস্তর। সে কথা গীতেতে গায় লোকে ততঃপর । ত্রিপুরার কত যন্ত্র ছাগ অন্ত্রে বাজে। সেই যন্ত্রে গীত গায় ত্রিপুর সমাজে ।”-রাজমালা, ডাঙ্গরফ খণ্ড )। গৌড়েশ্বর রত্নফাকে আশ্রয় দিলেন ; তাহার সৈন্যেরা ঘুঘুৱা-কীট মাটী হইতে ধরিয়া খাইত, এইজন্য গৌড়ীয়েরা তাহাদিগকে উপহাস করিত। গৌড়েশ্বর তাহ শুনিয়া রাজকুমারকে এজন্য একটু ঠাট্টা করেন। রত্নফা বলিলেন, “ত্রিপুরার ভদ্রসমাজেরাজবংশে এরূপ আচার নাই। আমাদের রাজ্যের কুকী প্ৰজারা এইরূপ খাদ্য খাইয়া থাকে ৷” গৌড়েশ্বর এই উত্তরে প্রীত হইলেন, এবং কুকী, কিরাত প্ৰভৃতি বিভিন্ন জাতীয় প্ৰজার বাস-বিশিষ্ট ত্রিপুর-সাম্রাজ্যের বিশালতা অনুমান করিয়া শ্ৰদ্ধাপূর্ণ হইলেন। একদা শুভ সোমবারে যথারীতি গৌড়ের বেশ্যারা রাজদর্শনার্থ রাজপ্রাসাদে সমাগত হইল । ইহারা সমারোহ করিয়া আসিতেছিল, কাহারও নাফর চাকরেরা স্বর্ণখচিত নিশান লইয়া অগ্ৰে অগ্ৰে চলিয়াছে ; কোন রমণী রত্নভূষিত বস্ত্র ও মণিমাণিক্যের গহনা পরিয়া ঘোড়ায় চড়িয়া আসিতেছে, কেহ শকটে চলিয়াছে ; তাহদের “প্ৰধানিক” বহুমূল্যবস্ত্ৰাবৃত চৌদোলায় যাইতেছে, উৎসুক দর্শকগণ চৌদোলার নিকট ভিড় করিলে ছড়িদারের বেত্ৰাঘাত করিয়া জনতা ঠেকাইয়া রাখিতেছে। এই ব্যাপার দেখিয়া কুমার রত্নফা প্ৰধানিকাকে গৌড়ের রাজ্ঞী মনে করিয়া সন্ত্রমে যাইয়া অগ্ৰে দাড়াইলেন এবং ভূমিষ্ঠ হইয়া প্ৰণাম করিলেন। চতুর্দিকে হাসির রোল পড়িয়া গেল। সেই প্ৰধান গণিকার চক্ষেও হাসি খেলিয়া গেল ; কুমারের সুশ্ৰী মূৰ্ত্তি ও বুদ্ধিহীনতা দেখিয়া তাহার কৃপা হইল। এই ঘটনা গৌড়েশ্বরের কাণে গেল। তিনি কুমারকে এসম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিলেন । লজ্জায় রত্নফার মুখ রাঙ্গা হইয়া গেল ; তিনি আড়ষ্ট ভাবে অতি বিনয়ের সহিত বলিলেন, তিনি উহাকে মহারাজী বলিয়া ভুল কারিয়াছিলেন। বাদসাহ কুমারের এই নিষ্পাপ হৃদয়ের সারল্যে মুগ্ধ হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার মুখ মান দেখিতেছি, তোমার পিতা কি তোমাকে রীতিমত বৃত্তি পাঠান না।” রত্নফা বলিলেন, “আমি কনিষ্ঠপুত্র, পিতা আমাকে আপনাব আশ্রয়ে পাঠাইয়াছেন এবং অপরাপর ভ্রাতাদিগের মধ্যে রাজ্য বণ্টন করিয়া प्रिाgछन् ।” গৌড়েশ্বর এই কথায় ক্রোধান্বিত হইলেন এবং তঁহাকে পিতৃরাজ্য বলপূর্বক গ্ৰহণ করিবার জন্য বহু সৈন্যসমেত ত্রিপুরায় পাঠাইয়া দিলেন। “জমির খাঁর গড়ে” ষে যুদ্ধ হইল, তাহাতে ডাঙ্গাবফা পরাস্তু হইয়া পৰ্ব্বতে পলাইলেন, তথায়ই র্তাহার মৃত্যু হইল। এই যুদ্ধ জয় করিয়া রত্নফা রাঙ্গামাটির অধিকার লাভ করিলেন; তাৎপরে ক্রমে ক্ৰমে অপর সমস্ত ভ্ৰাতাকে জয় করিয়া সমস্ত ত্রিপুর-রাজ্য দখল করিয়া ফেলিলেন। এই সকল যুদ্ধ-সংক্রান্ত স্থানগুলি রাজমালায় রত্নফার মাতার পুত্রবিরহ, পল্লীগাথা। ८शोरफुश्व्र ययर ब्रङ्गका । ዓifተቐ†ርቕ ጻ፬ኮርማ tjጭዘቫ | “জনিব খাঁর গড়ে যুদ্ধ।