পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\სტ(?სთ* বৃহৎ বঙ্গ বঙ্গদেশসম্বন্ধে লিখিয়াছেন, “এই সময়ে বাঙ্গলার প্রধান ব্যক্তিরা খাওয়ার সময়ে স্বর্ণপাত্রের একটা জমকালো ঘটা দেখাইতেন, ইহা তঁহাদের একটী রীতিতে দাড়াইয়াছিল। নিমন্ত্রণকালে কাহার এরূপ সোণার সরঞ্জাম বেশী তাহা লইয়া একটা গৌরবের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলিত।” ( ১৩৪ পৃ: ) । এ কথা বর্ণে বর্ণে সত্য। বাঙ্গলাদেশ। কত যুগ ধরিয়া বাণিজ্য ও কৃষিতে জগতে সৰ্ব্বপ্ৰধান স্থান অধিকার করিয়া এই বিপুল স্বর্ণাগম করিয়াছিল তাহার পরিচয় পূর্ববঙ্গ-গীতিকায় পাঠকেরা পাইবেন। এই গীতিকাগুলি তাম্রশাসন, শিলালেখ বা মুদ্রার ন্যায় ‘ইতিহাস’ নামে বাচ্য হইবার অধিকারী নহে, তথাপি সমাজের যে প্ৰতিবিম্ব তাহাতে পড়িয়াছে তাহ নিখুত । এই গীতিকবিতার ভাণ্ডারে কত অলঙ্কারের উল্লেখ আছে, তাহা ছাড়া গৃহ ও নৌযানসজ্জায় যে প্ৰভূত স্বর্ণ ও মুক্ত ব্যবহৃত হইত। তাহার পুনঃ পুনঃ উল্লেখ দৃষ্ট হয়। ভোজন ও পানীয়ের জন্য মধ্যবিত্ত গৃহস্থের গৃহে স্বর্ণের পাত্র ব্যবহৃত হইত। বণিকৃবধুৱা সৰ্ব্বদাই সোণার জলের কলসী লইয়া দীঘি, পুষ্করিণী বা নদীর পাড়ে জল আনিতে যাইতেন ; অর্ণবযানগুলির মাস্তুল স্বর্ণমণ্ডিত, এবং মণিখচিত জলটুঙ্গি, চৌচালা, আটচালা ঘরে প্রকাণ্ড আয়নার কপাট ও সোণা-রূপার রুয়া প্ৰযুক্ত হইত। এ দেশের বঁাশের “বারদুয়ারী’ ঘর যে ঠিক একখানা সাজানো প্ৰতিমার ন্যায় হইত, তাহ ফরিদপুর জেলার সায়ওয়ারজান মিঞার বাঙ্গালা ঘরখানি-সম্বন্ধীয় দীর্ঘ বর্ণনায় সবিস্তারে বলা হইয়াছে। সে সময়ের যত ইষ্টকালয় প্ৰস্তুত হইয়াছিল, তাহদের অধিকাংশই বিলুপ্ত, কিন্তু সেইৰূপ কয়েকখানি ঘব কতকটা গৌরব বিচ্যুত হইয়াও কালের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া হযত কোন কোন স্থানে এখনও টিকিয়া আছে। পূর্ববঙ্গগীতিকায় দেখা যায় এক বণিক-শ্ৰেষ্ঠের এইরূপ ঘরে হীরামণির ঝালর শোভা পাইত এবং রুয়া ও থাম সোণারূপায় ঝলমল করিত, সোণাব পাতি দিয়া চাল ছাওয়া হইত। ময়ূরপুচ্ছ ও মাছরাঙ্গা পাখীর পাখা দিয়া অনেক সময়ে চালের নীচের দিকটা সাজানো হইত। “ভেলুয়া” নামক গীতিতে বণিকরাজ মুৱাইএর বাড়ীর কথায় লিখিত আছে— “বড় বড় ঘর, তার আটচালা চৌচালা-আর সোণ দিয়া মুড়াইছে মাথারে। রূপাতে দিয়াছে ঠনি, সোণার পাতে দিছে। ছানি, টুয়ের মধ্যে রত্ন অলঙ্কার, হাজার বাণিজ্য নায় BBB DBBBD DDDYSLBBBDS BBD DBiBBE SD0SS Dg DDgS DDB BDLSS DHLBSDD DiSSS আমরা মনে করিয়াছিলাম। এই বর্ণনার সকলই উপকথা, কিন্তু যখন ফরিদপুরের এক মধ্যবিত্ত গৃহস্থের বাড়ীতে কতকটা এইরূপ ঘর দেখিতেছি, তখন মনে হয় না যে কবি সত্যের উপর খুব জোরসে তুলি চালাইয়া রং অতিরিক্ত পরিমাণে দিয়া ফেলিয়াছেন। কিন্তু যখন অজন্তা গুহার পাথরের ছাদের উপর ছবির সহিত এই ঘরের গ্ৰন্থিস্থলে হস্তিগ্রাসকারী সিংহ, পারস্পায় বন্ধ নরহস্য ও বিবিধ ফুল-লতায় একটা পরম ঐক্য দেখাইতেছে এবং যখন আমরাও কলাশিল্পজাত নানারূপ প্ৰমাণ দ্বারা দেখাইয়াছি--( বিশেষতঃ মুকুলবাবু প্ৰমাণ করিয়াছেন যে, অজন্তার কস্মিগণের মধ্যে অনেক বাঙ্গালী ছিলেন।) তখন এরূপ সিন্ধান্ত করা স্বাভাবিক যে সেই