পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুসমাজ ও বৈষ্ণবধৰ্ম্ম Ved) আমার প্রাণী।” শত শত গানে এই ভাবটি আছে,-“দেখ এসে এক সোণার মানুষ পতিতের গলা ধরিয়া কঁদিতেছেন।” গৌরাঙ্গদেব জাতীয় গানের যত উপহার পাইয়াছেন, বোধ হয় জগতে আর কেহ তেমন পান নাই। তাহার নিজের জীবনটি ছিল একটি গানেরই মত। এই রূঢ় জগতের কোন জটিল কথা তাহাতে ছিল না। দুইটি অশ্রুময় পদ্মচক্ষু, “ঢাল DD BBDBS BBSBDBE EB uDDYig SBD uDDB DBBDBzSSS S YDD Dt gD BuLEK BDBDiD BDBBD DDD BEDBBDB BDBD DD BDSS YKDD BDDS DDu DB LBKB DBBD গৌরাঙ্গপদ সঙ্কলন করিয়াছেন, তাহা সেই অফুরন্ত ভাণ্ডারের অতি নগণ্য অংশ। তাহার যে সমস্ত বড় বড় জীবন-চরিত লেখা হইয়াছে—তাহার মধ্যে চৈতন্যকে ষত না পাওয়া যায়, এই সকল গানের মধ্যে র্তাহার জীবন্ত রূপ তদাধিক পাওয়া যায়-সুরধুনীর তীরে র্তাহার কীৰ্ত্তনের যে খোল বাজিয়া উঠিয়াছিল, অদ্যাবধি সেই সুরতরঙ্গ এখানে আকাশেDBB SgiBBDDSS BBD BBuuBDuDBDD S DDLLDDD DDS DDD Duu BTBBDB কোল দিয়াছিলেন, তিনি যে শ্রবণামৃত কৃষ্ণকথা শুনাইয়াছিলেন-কািত ভঙ্গীতে কত ছন্দে কত সূক্ষ্মরূপে বাঙ্গলার জনসাধারণ তাহাঁই গাইয়া আসিতেছে। তাহার অপূৰ্ব্ব কীৰ্ত্তন মনোহরসাই, গড়নহাট, রেনেট প্ৰভৃতি সুরে।---ভাবের মদিরা ঢালিয়া বাঙ্গালীকুটিরের সর্বাদুঃখের জ্বালা ভুলইয়াছে, শতাব্দীর পর শতাব্দী এমন করিয়া কোন সমগ্ৰ জাতি জগতে গুণের পূজা করে নাই। গৌরাঙ্গ প্রকৃতই বাঙ্গালীর চোখের অঞ্জন, কণ্ঠের আভরণ, হস্তের দর্পণ, মুখের তাম্বুল, হৃদয়সৰ্ব্বস্ব, গৃহের সার । তিন ভগবানের রূপ দর্শন করিয়াছিলেন, তাহা দেখিয়া পাগল হইয়াছিলেন । বাঙ্গলার জনসাধারণ রূপাক্তিসার” গাহিয়া সেই স্মৃতি এখনও উপভোগ করিতেছে। নব-বিবাহিত্যু বধু পিত্ৰালয়ে গেলে যেমন নূতন বয়টি ঘুরিয়া ফিরিয়া শ্বশুরালয় হইতে আগত কোন লোকের সঙ্গে আলাপ করিতে ভালবাসে।--সেই প্ৰাণের মানুষটি যে স্বৰ্গলো, তাহাদিগকে দেখাইয়াছিলেন সেই স্বর্গের স্মৃতি সম্বল করিয়া বাঙ্গালীচিত্ত তেমনি মহাজন-পদাবলী বুকের ধন করিয়া রাখিয়াছে এবং Vof vef(5 as starter চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস প্ৰভৃতির কীৰ্ত্তনকে “মহাজন'-পদাবলী আখ্যা দেওয়া হইয়া থাকে । বাঙ্গালী আর কোন জাতীয় গানকে এইরূপ সম্মান দেখায় নাই। রাম প্ৰসাদের ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় সঙ্গীত, রামমোহনের ব্ৰহ্মসঙ্গীত, ফকির ও বাউলদের গান এবং আগমনী গান-ইহারা সত্যসত্যই ধৰ্ম্মের কথা শুনাইতেছে, কিন্তু ইহার কোনটিই ‘মহাজনপদ।” নহে । চৈতন্তের পরিকরগণ কিংবা চৈতন্য যাহাদের নিকট প্রেমের প্রেরণা পাইয়াছেন এবং চৈতন্যের পরবত্তী একটি নির্দিষ্ট কবির দল, যাহার রাধাকৃষ্ণ-সঙ্গীত রচনা করিয়াছেন—তঁাহারাই ‘মহাজন” ; চতুৰ্দশ শতাব্দীর শেষভাগ হইতে সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগ পৰ্য্যন্ত একটি নির্দিষ্ট বৈষ্ণব কবির দল-“মহাজন” । রূপজীবীরাও কীৰ্ত্তন গাহিয়া থাকে, তাহারা রামপ্ৰসাদের গান, কীৰ্ত্তনের সঙ্গে ঢ়ৈ তেন্যের 巧可布山 F( 5 |