পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о о বৃহৎ বঙ্গ এই উপাখ্যানটি “মার-বিজয়” নামে পরিচিত। প্রকৃত বিরাগ জন্মিবার পূর্বে মনুষ্যদ্বাদয়ের বল পরীক্ষার জন্য এক সময়ে সমস্ত সাংসারিক প্রলোভন যেন একত্ৰ হইয়া সাধককে প্ৰলুব্ধ করিতে চেষ্টা করে । এই প্রলোভন দমন করিতে না পারিলে সাধক সিদ্ধি লাভ করিতে পারেন না। কথিত আছে তান্ত্রিকগণ অহরহঃ এইভাবে সাংসারিক ভয়, লোভ ও আকর্ষণের সম্মুখীন হইয়া শ্মশানে মৃত দেহের উপর বসিয়া তপস্যা করেন। মার-বিজয়ের পর বুদ্ধের উপাধি হইয়াছিল “অন্থন” ( অৰ্থাৎ )—অরি হনন করিতে সমর্থ-শব্দটি এই অর্থ স্বাচনা কবে ; আম জন্তা-গুহায্য গৌতম-জীবনের এই অধ্যায়ের একটি উৎকৃষ্ট চিত্র আছে ! আর একটি চিত্রে গৌতম যে রাজপথে বৃদ্ধ, মৃত ও সন্ন্যাসীকে দেখিয়া প্রাসাদে ফিরিয়া আসিযাছিলেন, তাহা অতি সুচারুরূপে অঙ্কিত রহি গাছে । অপদেবতা প্রলোভনের শেষ ^ ন নিক্ষেপ করিয়া নিরস্ত হইল। যিশু সম্বন্ধেও এইরূপ KLDS SDBYD S SLLB SBDDBBS SLLBBS BBDBDDSDD SGD KLHH DBDDBDBDDBSDDS S DDDD DD হয়, যিশুর শয়তানকৃত প্ৰলোভন-দমন এবং শিবের : কাম জয় বৌদ্ধ কাহিনীর নিকট ঋণী । কামদেব যখন শীর নিক্ষেপ করিযাছিলেন, তখন শিবের চক্ষু অকস্মাৎ গৌরীর বিস্বাধরের প্রতি পড়িয়া এক মুকু স্ট্রর জন্য মুগ্ধ হইয়া পাf দুধাৰ্ছিলি---“শিবস্তু কিঞ্চিৎ পরিলুপ্তধৈৰ্য্যঃ ” শ! হা হউক রঙ্গনীর শেষ স্বামে গৌতমের তপঃসিদ্ধি হইল। কামজয়ী পুরুষের মনের দৃঢ়তা অটল অচল হইলে রাত্ৰি-শেষে গৌতম দেখিলেন অন্ধকার কাটিযা গিয়া ছে-সত্যের আলোক পূর্ণভাবে তেঁাহার চক্ষে প্ৰকাশ পাইঘাছে ; সেই তপোনিৰ্ম্মল চক্ষে জগতের চারিদিকে তিনি সত্যের স্বর্ণীক্ষার উজ্জ্বল ভাবে দেখিতে পাইলেন এবং বুদ্ধত্ব লাভ করিলেন। তাহার নিকট এই কযেকটি কথা জাজিল্যমান হইল। প্ৰত্যেক জীব নিজের কৰ্ম্মফলে সুখ-দুঃখ পায়-জীবন দুঃখময়, জন্মে জন্মে কামনা পরিহার করিতে পারিলে জন্মান্তরের লাহে চিরন্দ্ৰাম্যমাণ জীব মুক্তি লাভ করিতে পারে । উৎকট কৃচ্ছ সাধন করি যা নিজেই দেহ ক্ষমা করা উচিত নহে। কামনার বশবৰ্ত্তী হইয়া কাজ করিবে না, নিঙ্গম হইয়া মধ্যপথ অবলম্বনপূর্বক সুকৰ্ম্ম করিয়া যাইবে । বুদ্ধ শব্দের অর্থ লিঙ্গ-ভজ্ঞান (डनि যে তত্ত্বের অধিগম-দ্বারা এই উপাধি গ্ৰহণ করেন, সেই তত্ত্বের শারিভাষিক “প্ৰতীত্যসমুৎপাদ্য ।” অবিদ্যার ধ্বংসই দুঃখমোচনের একমাত্র উপায়--- এই মহাতত্ত্ব তিনি উপলব্ধি করিলেন । পৃথিবীর যত দুঃখ তাহা এই অবিদ্যার ডালপালা হইতে জাত ; অবিস্তী-তরুর ক্রমবিকাশ এইরূপ - অবিদ্যা হইতে সংস্কাৰ, সংস্কার হইতে বিজ্ঞান, বিজ্ঞান হইতে নােমরূপ, নােমরূপ হইতে ষড়ায়তন, ষড়ান্ধতন হইতে স্পশ স্পেশ হইতে বেদনা, বেদনা হইতে তৃষ্ণা, তৃষ্ণা হইতে উপাদান, উপাদান ঠাইতে ভব, ভবা হইতে জাতি, জাতি হইতে জরা মৃত্যু, শোক, পরিদেব, দৌমনস্তা, উপায়নের উৎপত্তি হঠা ९iएक ! लाऊाढिरुङ्ग দুঃখের মূল কারণ অবিস্তা। এই কথাগুলি কতকটা গীতার “মোঃ/২ সপ্ৰায়তে ক্ৰোধপ্রভৃতির মত শোনায়। অবিস্কা ধ্বংসের আটটি উপায় ভগবান পদ্ধ নির্দেশ করিয়াছেন gr, *** reg i