পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

称 ভূমিকা R/ ও আশান্বিত করিয়াছে । আমি বাজলা দেশ অপেক্ষা পুণ্যতীর্থ জানি না, বাঙ্গলা ভাষা যাহা আমি মাতার নিকট শিখিয়াছি, যাহাতে আমার স্ত্রীপুত্রকন্যা কথা বলিয়া আমার শ্রবণে অমৃত ঢালিয়া দিতেছেন, সেই ভাষাবি মত এমন সুমিষ্ট ও সুশ্রাব্য আর কোন ভাষা আমি জানি না ; আমার কৰ্ণে কোকিল-পাপিয়া-কণ্ঠে এরূপ কল-তান নাই। ৰাঙ্গলা সাহিত্যের মত এমন ভাব ও কবিত্বের খনি আমি কোথাও পাই নাই। আমি বিশ্ব-প্ৰেমিক নহি, আমি একান্ত ভাবে প্রাদেশিক , তাহতে কেহ গদি মনে করেন, আমি যুগোপযোগী নহি,- আমি ক্রম-বৈদ্ধিষ্ণু অগ্ৰগতিশীল সভ্যতার পশ্চাৎ-ভাগে কাপমণ্ডুক হইয়া পড়িয়া আছি,-তবে সেই অভিযোগের আমি প্রতিবাদ করিব না, আমি তাহাই । আমার এক মাত্ৰ গৰ্ব্ব আমি মায্যের ছেলে-তাহার হাতের ধান-দূর্ব ও আশিসের অপেক্ষা আমার কাছে বড় কিছুই নাই। এই পুস্তকে পলাশীর যুদ্ধ পৰ্য্যন্ত লিখিয়া ইহা শেষ করিলাম, পরিশিষ্ট-খণ্ডে প্ৰাদেশিক রাজ্যগুলির ইতিহাস দেওয়া হইয়াছে। পলাশীর যুদ্ধের পরের ঘটনাগুলি দোষগুণে নানা জটিলতা-ফুক্ত স্থাইয়ু আছে। এই সময়ে তাহাক্স যথাযথ বিৰায়ণ দিতে পাবিলাম না। এখন এই দেশ একটা উত্তেজনার মধ্য দিয়া চলিতেছে। সরকার সন্দিগ্ধ, এবং দেশের লোক ব্যতিব্যস্ত। এ দেশের লোকের পক্ষে অল্পই জীবনের প্রধান সম্বল, কিন্তু জর হইলে চিকিৎসক আর বন্ধ করিয়া দেন, সেইরূপ যদিও ঐতিহাসিকের পক্ষে সত্যই সর্বদা অবলম্বনীয, এই বিকৃত ও উত্তেজিত যুগে সত্য কথা এখন নিরাপদ নহে। আশা করি, অচিরে এই রাজনৈতিক ঘনঘটা কাটিয়া যাইবে, তখন বৃটিশ-অধিকারে আমাদের কত দিক দিয়া কত উপকাৰ হইয়াছে, এবং জাতীয় সম্পদ কোন দিকে বাড়িয়াছে, এবং কোন দিকে কমিয়াছে—তাহার একটা হিসাব-নিকাশ করার সময় হইবে । তখন যদি আমার সামৰ্থ্য থাকে ‘ অাধুতে কুলায়, তবে “বৃটিশ-অধিকারে বাঙ্গলা” শীর্ষক এই পুস্তকের পরবর্তী খণ্ড প্ৰকাশ করিবার ইচ্ছ। রহিল ; ইংরেজেরা আমাদের একটা জিনিষ দিয়াছেন, যাহা অমূল্যতাহা চোখের দৃষ্টি। কে ছিল অশোক, কে ছিল দীপঙ্কর, এমন কি কে ছিল শিবাজী ও রণজিৎ সিং-কে ছিল প্ৰতাপাদিত্য ও কে ছিল সীতারাম, কোথায় ছিল নালন্দা ও বিক্রমশিলা,-এক কথায় এই বিরাট ভারতবর্ষের কথা ছাড়িয়া দিলেও আমাদের কাছে বঙ্গদেশও অন্ধকারময় ছিল। ইংরেজের কাছে চক্ষুদান পাইয়া আমরা আজ জাগিয়া উঠিয়াছি। এই চক্ষুদান অপেক্ষা বড় দান কেহ কাহাকেও দিতে পারে না। তাহারা আমাদের চক্ষু উন্মীলন করিয়া গুরুপদ গ্ৰহণ করিয়াছেন-এ বিষয়ে কোন মতান্তর হইতে পারে না। ) বাঙ্গালী মুসলমান শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে কেহ কেহ এদেশের বৈষ্ণব-ধৰ্ম্মের উপর হুকীসম্প্রদায়ের চিন্তা-ধারার প্রভাবসম্বন্ধে আলোচনা কহিয়া থাকেন। আমার ছাত্র ভা” এনোমল হক, এম, এ, পি. এচ. ভিট্ৰ, মহাশয়কে এ বিষয়ে তাহার মতামত জিজ্ঞাসা করিয়া এই পুস্তকের অন্ত একটি সংক্ষিপ্ত সম্পর্ক লিখিড়ে cक• शु*ि फ'कrद्र१ a N set