পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

སྔ་སེལ། ه (ماه পৰ্যন্তও ঘরে ঘরে এই লক্ষ্মীরা বিরাজ করিতেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-প্রমুখ চিত্রগুরুগণ এই আলপনা হইতে চিত্র-শিল্পের প্রেরণা পাইয়াছেন। একটি দুইটি নাম দিয়া কি করিব ? লক্ষ নামের তালিকা দিলেও উহা সম্পূর্ণ হইবার নহে। ফরিদপুরের বাগলা দেৰী, নগেন্দ্ৰীৰালা দেৰী প্ৰভৃতি। অশীতিপর বৃদ্ধিারা এখনও যদি পিঠালী বা চালের গুড়া লইয়া বসেন, তবে তাহাজের অবলীলাক্রমে অঙ্কিত আলপনার কাছে শিল্পাচাৰ্য্যগণও হার মানিয়া যান। খুলনা জেলায় সেনহাটী-বাসিনী ‘কমলার মার’ খ্যাতিও আমরা শুনিয়াছি। ব্ৰত-নৃত্যে ফরিদপুরের মায়া দেৰী, কালী ও নিৰ্ম্মলা দেবী, সুবাসিনী, মোক্ষদা দেবী প্ৰভৃতি তরুণীরা প্ৰাচীন ধারাটি প্ৰশংসনীয় সাফল্যের সহিত অভ্যাস করিতেছেন। সামান্য চেষ্টা করিলে আমরা ময়মনসিংহের প্রসিদ্ধ জারি, ঝুমুর, যশোহরের ঢালি ও ব্ৰত-নৃত্যকারীদের নাম সংগ্ৰহ করিতে পারি। এখনও খুলনা, শ্ৰীহট্ট ও যশোরে দুই একজন এমন রমণী আছেন, কঁথা শেলাই কাৰ্য্যে ধাহাঙ্গেয় কৃতিত্ব অসাধারণ। এই সকল শিল্প বাঙ্গলা দেশে অজন্তা, বরোবন্দর, খেজুরাহ, অমরাবতী প্রভৃতি স্থানের শিল্প-কলা হইতেও প্রাচীনতর। কোন অতীত যুগের হরিদ্বারে, ইহাদের উৎস-মুখ, उाछा ८कान् 7थफूङरुगिन् निर्भग्न করিবেনf হয়ত তেঁাহাকে মহেজোদারো ও হরপ্পায় যুগে গতিবিধি করিতে হইবে, হযত মহাভারতের সময়েরও বহু পূর্বেই বঙ্গদেশের শিল্পের অপোগণ্ডত্ব ঘুচিয়া গিয়াছিল—এইগুলিই আমাদের বঙ্গদেশের নিজস্ব সম্পত্তি। দুঃখের বিষয় স্বদেশী নেতাদের বিচিত্ৰ কৰ্ম্ম-বিভাগের মধ্যে ইহাদের কথা কেহই একবার স্মরণ করেন না। এই শিল্পীরা নিঃস্বার্থভাবে।--বিষম দারিদ্র্য ও নিরুৎসাহের মধ্যে শত সহস্ৰ বৎসর যাবৎ তীহাদের, নিজস্ব জিনিষ রক্ষা করিয়া আসিয়াছেন। ঝিনুকের জীব যেরূপ শুক্তির মধ্যে মুক্ত রক্ষা করে এবং তজন্য প্ৰাণ দেয়-এদেশের শিল্পীয়া চিরকাল সেইভাবে তাহদের নিজস্ব বিদ্যা রক্ষা করিয়াছে, কিন্তু আর বুঝি তাহারা পারে না, দেশের লোকের দ্বারা অৰজাত হইয়া” এইবার দেশী শিল্প মরিতে বসিয়াছে ! বাঙ্গলার চিত্রশিল্প-সম্বন্ধে আমরা অনেক আলোচনা করিয়াছি ( ২২৮-৪০, ৪০৬-৫২, ৫৫৭-৫৮, ৮৮৭-৯২, পৃ: ) । হিন্দু রাজত্বকালে শিল্পী যে প্ৰভূত পুরস্কার ও উৎসাহ পাইত, গত সাত শত বৎসর যাবৎ সে তাহা হইতে বঞ্চিত হইয়াছে। মোগল ও রাজপুত শিল্পের মার্জিত ও পরিণত রূপ সে কোথায় পাইবে ? কালীঘাটের চিত্রের মূল্য ছিল দুই পয়সা। আরাঞ্জেবের নিষেধাত্মক বিধিতে শিল্পীরা দিল্পী-দরবার হইতে প্ৰস্থান করিয়া রাজপুতনায় আশ্রয় লইয়াছিল, সেখানে ঐ শিল্প পরিচ্ছন্নতা ও কায়দা-কানুনের দিকটা কতকটা হারাইয়া হিন্দুর আধ্যাত্মিকতার দিকে অগ্রসর হইয়াছিল। কিন্তু দুই দিকের প্রভাবে পতিয়া উহ। একটা মিশ্র রকমের সামগ্ৰীতে দাড়াইয়াছিল। ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে মানসিংহ वांजलांब्र थाँध दिए এই জয়পুরী আদৰ্শ ৰাঙ্গলায় চালাইয়াছিলেন ; ভািবধি বাঙ্গালী पिरीषर् । শিল্পী বাদলার বড় মানুষদের ফরমাইল মস্ত জয়পুরস্কশিল্পের

  • াইন ও পোষাকের আড়ম্বয় ফেলা। ”