পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रुई चक्रू। *२१ —কোপ-হুতাশন হতে উৰ্দ্ধদিকে প্রধাবিত ফুলিঙ্গ সমান। ক্ষিপ্ত ভীম-বাছ রূপ মন্দরে হইয়া সুমথিত ক্ষীরাখুধি হতে যেন কাল কুট হল সমুখিত ॥ যুধি –সাধু স্বক্ষত্রিয় সাধু ! দ্রোঁ —যুদ্ধ হল কি হল না ? পাঞ্চ —এই জলাশয় হতে উখান করে’, তোরণাকারে দুই হস্তে গদা উত্তোলন করে দুৰ্য্যোধন এই কথা বলে –“ওগো পবনপুত্র! তুমি কি মনে করচ দুৰ্য্যোধন তোমার ভয়ে লুকিয়ে আছে ? মূঢ় ! পাণ্ডুপুত্রদের বধ করতে না পেরে লজ্জিত হয়ে প্রকাশুেই পাতালে বিশ্রাম করতে আমি উদ্যত হয়েছিলেম। আর, বাসুদেব ও অর্জুন দুজনেই পূৰ্ব্বে বলেছিলেন, “ভীম দুৰ্য্যোধনের যুদ্ধ জলের অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ।” তার পর, কৌরব-রাজ ভূতলে গদা নিক্ষেপ করে’ বসে পড়লেন। আর, যেখানে শত-গজ-বাজি নিহত, গৃধ্ৰু-কঙ্কজেষু ভক্ষিত শত শত মৃতদেহ নিপতিত, যেখানে আমাদের সৈন্তের সিংহনাদ-বিমিশ্র তুর্য্য-ধ্বনি সমুখিত, আর সমস্ত দুৰ্য্যোধনের সৈন্ত বিনষ্ট—সেই বন্ধু-শূন্ত, বান্ধব-শূন্ত কুরুক্ষেত্র অবলোকন করে’ দুৰ্য্যোধন উষ্ণ দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ করতে লাগলেন। তার পর, বৃকোদর তাকে বল্লেন —“ওগো কৌরব-রাজ ! বন্ধুজনের বধে রুষ্ট হয়ে আর কি হবে ?— এখন দুঃখ করাও বৃথা । “ আমরা পাণ্ডবেরা এসেছি। তবু দেখ আমি এখন অসহায় । তা ছাড়া ঃ–