পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী রায় । দেখেছি। দেখে কতবার মনে করেছি, এ ফুলটি বামুনের কুটীরে ফু’টে নষ্ট হয় কেন, দোস্তের জন্য তু’লে আনি। জহুরী রত্নের কদর বুঝে। তারই কাছে এমন মাণিক থাকিলে মানায়।” জলিল অবাক হইয়া বন্ধুর কথা শুনিতেছিল। খলিলের কথা সাঙ্গ হইলে সে বলিল, “একটা বামুনপণ্ডিতের ঘরে এমন মাণিক ! দোস্ত, বল কি ?” খলিল। বিশ্বাস না হয়, একদিন চক্ষু কর্ণের বিবাদ মিটাও । জলিল। বেশ, তাই হবে। কালই আমরা পরীকে দেখিতে যাব । জলিল এ সব ব্যাপারে কোনকালেই পশ্চাৎপদ নয়। বিশেষ, এত রূপের আধার যে তাহাকে না দেখিয়া সে নিশ্চিন্ত রহিবে ? পরদিন অপরাহে বেণীমাধবের পত্নী জয় পুষ্করিণীর ঘাট হইতে গা ধুইয়া অন্তঃপুরের অভিমুখে যাইতেছিলেন। জলিল তাহাকে আন্দ্রবসনে কলসীকক্ষে মন্থরগমনে যাইতে দেখিল । সেই দেখাই তাহার কাল হইল। সদ্যঃ মাতার অবয়বে যে অনন্ত মাধুরী ফুটিয়া উঠে সুন্দরী রমণীতে তাহ সহস্ৰগুণে রমণীয়। সে সৌন্দৰ্য্য দেখিলে প্ৰশান্তচিত্ত ব্যক্তিও ক্ষণেকের জন্য আত্মহারা হন, বিধাতার অপূৰ্বসৃষ্টি জ্ঞানে তাহা হইতে বিস্ময়োৎফুল্লীদৃষ্টি ফিরাইয়া লইতে পারেন না। জলিলের কথা কি বলিব ?" সে যাহা দেখিল তাহা কল্পনার অতীত সুষমা, স্বপ্নের অগোচর শোভা । মারি মারি কি অপরূপ রূপলহরী ! যেন সদ্যঃশিশিরসিক্ত বসোরার গোলাপ মৃদুমন্দ বায়ুভরে হেলিতেছে, দুলিতেছে, আপনার গৌরবে আপনি 128 o