পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী রায় । সন্মুখে আকাশভূমিকুটীরবিটপিতটবাপী সব ঘুরিতে লাগিল। সে ঐ আলোকসামান্য সুন্দরীর প্রতি গতিবিভ্ৰমে, অঞ্চলসঞ্চালনে, অলঙ্কারশিঞ্জিতে ঐক্যতানবাদনের ন্যায় অশ্রুতপূৰ্ব সঙ্গীত শুনিতে পাইল ও বেণুরবে ধাবিত মৃগের ন্যায় বিমূঢ় হইল। জয়া চলিয়া গেলেও সে সেদিক হইতে তাহার লালসালোলুপ দৃষ্টি ফিরাইয়া লাইতে পারিল না। রমণীদুর্লভ রূপের অয়স্কান্তে তাহার চক্ষু দুইটি এমনি আকৃষ্ট হইয়া রহিল। সহসাশ্রুত পত্ৰিমৰ্ম্মরে ও অনিশ্চিত অক্ষুট কণ্ঠস্বরে সে যেন কাহার কলধ্বনি শুনিতে পাইয়া শিহরিয়া উঠিতে লাগিল। কাহার শ্বাসের সৌরভ। বহিয়া আনিয়া সমীরণ যেন মৰ্ত্ত্যকে স্বৰ্গে পরিণত করিয়া তুলিল। সে আসিতেছে কি ? সে আসিতেছে কি ? যাহার রূপের রশ্মিস্পর্শে তাহার হৃদয়তন্ত্রী আজ বাজিয়া উঠিয়াছে সে তাহার অঙ্ক’লক্ষ্মী হইবে কি ?-কই, সে তো আর আসিল না, জগৎ আর হাসিল না,- একি স্বপ্ন না। সত্য ? সত্য সত্যই জলিল অচিন্তনীয় রূপরাশি দেখিয়া পাগল হইল। তাহার দৃষ্টি স্থির, বেণীমাধবের অন্তঃপুরাভিমুখী ; তাহার বাক্য রুদ্ধ। সে বাজাহতের মত, চিত্ৰাপিতের মত সেই বাপীতটে দাড়াইয়া রহিল। খলিল কত বলিল, কত বুঝাইল, তবু সে প্ৰবোধ মানিল না । খলিল বড় মুস্কিলে পড়িল। সে কহিল, “এভাবে এখানে দীর্ঘকাল বসিয়া থাকিলে লোকে বলিবে কি ? পাগল হইলেই তো আশার সুসার হইবে না, বরং উদ্দেশ্য পণ্ড হইবে।” জলিল। তবুও’ निकोंक । Σ Ν.