পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । জলিল। আচ্ছা, পকরম্ভা, তুমি আসিতেছ। কোথা হইতে ? হৃষীকেশ শৰ্ম্ম তখন অতিশয় কাতরস্বরে করজোড়ে কহিল, “দোহাই খাঁ সাহেব, আমার কোন অপরাধ নাই। এই মিঞা সাহেব শুধু শুধু আমাকে ধরিয়া আনিয়াছেন।” খলিল। চোপরও, বেইমান!—হাটে কি বলিতেছিলে বল। হৃষীকেশ। আজ্ঞে, তা” বলিতেছিলাম কি,- হাটে বলিতেছিলাম কি,- সে এমন কিছু নয়, আপনাদের কোন প্ৰস্তাব নয় খলিল। শীঘ্ৰ বল! নইলে তোর মুখে থুতু দিব।” হৃষীকেশ। আজ্ঞে, হাটের মাঝখানে রাজারাজড়ার কথা না বলাই ছিল ভাল। ত” ঘাটু হইয়াছে, গরীবের গোস্তাকি মাপু হয়, হুজুর! খলিল। খানসামা, গোস্ত ল্যাও ! ল্যাকে ইস্কো খিল্প দেও। হৃষীকেশ প্ৰমাদ গণিলেন। ব্ৰাহ্মণের মুখে মুসলমানের খুতু, তার পর, রাম বল, একেবারে গোস্ত ! হতভাগ্য তর্কালঙ্কার মনে মনে সঙ্কল্প করিলেন, আর কখনও প্ৰকাশ্যে পরিচর্চা করিবেন। না। তিনি নাকে কাণে খৎ দিয়া ক্ৰন্দনের সুরে কহিলেন, “খা সাহেবরা গরীব বামুনের জাতিটা আর মারিবেন না। যাহা শুনিতে চান বলিয়া যাইতেছি। সাতোড়ের রাজা মুকুট রায় বারেন্দ্ৰ কুলীন ও সিদ্ধশ্রোত্ৰিয় স্ত্রী স্বত্ত্বেও রাঢ়ীয় বংশে বিবাহ করেন। তাহাতে উপাধিগৃন্য পণ্ডিত বেণীমাধব রায় মত দিয়াছিলেন। তিনি বিলিয়াছিলেন, “রাঢ়ী ও বারেন্দ্ৰে বিবাহ অশাস্ত্র নয়। কেবল দেশাচারই এরূপ বিবাহের একমাত্র প্রতিবন্ধকতা। তা” ব্ৰাহ্ম SG