পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতর্থ পরিচ্ছেদ । জলিল। তোবা, তোবা, বলেন কি ? খলিলের হচ্ছে জরুখলিল। আমার হচ্ছে জরু, এও কি একটা প্ৰমাণের কথা ? বিশ্বাস না হয়, এই তো এতগুলি লোক আছে ইহাদের জিজ্ঞাসা করুন। ছি ছি, বড় সরমের কথা, বড় লজ্জায় ফেলিলেন আমাকে । হায় হায়, বেরাদারদের সামনে আমার মান ইজ্জত সব গেল। যুগল। চণ্ডী, হারু, তোমরা ঐ ছিপের উপর উঠিয়া ব’স । ক্ষুদিরাম, আমাদের ছিপ উহাদের সঙ্গে সঙ্গে চালাইয়া লও। সৰ্ব্বনাশ, মহা বেগতিক। এখন একটা গোল করিলে নৌকা ডুবি ও রক্তারক্তি হয়। তার চেয়ে কামালপুরে গিয়া একটা হেস্ত নেস্ত যাহা হয় করা যাইবে। বিশেষ, এখান হইতে কামালপুর বেশী দূরও নয়। সেখানে নিজের জোরাও চলিতে পারে। ইহা ভাবিয়া জলিল আর কোন আপত্তি করিল না । দুই খানি ছিপ পাশাপাশি চলিল। অবশেষে কামালপুরের সদর ঘাটে পহুছিয়া যুগলকিশোর জলিলকে কহিলেন, “তোমার চারিজন লোক ঐ গাছতলায় কাপড়ের বেড় দিয়া ঘের করিয়া দাড়াকৃ। খলিল মিঞার জরু ঐ খানে হাটিয়া যাইবেন । সত্য সত্যই ছিপের ভিতরকার আওৱৎ যে তাহারই জেনানা ইহা জানিতে পারিলেই আমরা নিশ্চিন্ত মনে ফিরিয়া যাইতে পারি।” খলিল। তা হবে না, আমার জরুকে আপনাদের সম্মুখে হঁাটাইয়া লইতে পারিব না। পান্ধী আসুক, বেহােরারা আসুক, দাস দাসী আসুক, তবে তিনি ছিপ হইতে নামিবেনু । So