পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ। মনুষ্যের দ্রুত পদশব্দে জাগিয়া উঠিয়া দুই একবার “কোঁ ?-কে ?” বলিয়া হঁক দিয়া আবার ঘুমাইয়া পড়িল। চতুঃষ্পাঠীর নিদ্রামগ্ন শিষ্যেরা বুঝিতে পারিল না। তাহাদের কি সৰ্ব্বনাশ হইয়া গেল। পাষণ্ডের ঘুরিয়া ফিরিয়া বড়লের সোঁতার ধারে উপস্থিত হইল ও জয়াকে একখানি ছিপে তুলিয়া তৎক্ষণাৎ কামালপুর অভিমুখে যাত্ৰা করিল। এই ভাবে তাহারা যাইতে যাইতে রাত্ৰি প্ৰভাত হইল। তখন আর এক খানি বৃহত্তর ছিপ তাহদের সম্মুখীন হইলে জলিল সভয়ে দেখিল তাহার আরোহী সেরপুরনিবাসী যুগলকিশোর সান্ন্যাল ও পােতাজিয়ানিবাসী চণ্ডীপ্রসাদ রায়। এই যুবক দ্বয়কে সে ভাল রূপেই চিনিত। দাউদ শাহের রাজত্বকালে রাষ্ট্র বিপ্লবের সুচনা হইতেই ইহারা দলবদ্ধ হইয়া স্বজাতীয়ের মানসন্ত্রম বঁাচাইবার জন্য অস্ত্ৰধারণ করিয়াছিল এবং স্থলপথে ও জলপথে অত্যাচার দমন করিয়া বেড়াইত । জলিলকে দেখিয়াই যুগল কহিলেন, “খা সাহেব, এই প্ৰত্যুষে কি মনে করিয়া এত তাড়াতাড়ি সদলবলে ছিপ চালাইয়া যাইতেছ?” O জলিল যেন তাহ শুনিতে না পাইয়া এ কথার কোন উত্তর না দিয়া অনুচরদিগকে ক্ষিপ্ৰবেগে ছিপ চালাইতে ইঙ্গিত করিল। তাহা দেখিয়া যুগল হাকিলেন, “ছিপ ভিড়াও ” ইতিমধ্যে বড় ছিপাখানি ছোট ছিপের গতি রোধ করিয়া দাড়াইল। যুগল কহিলেন, “এত ব্যস্ততা কেন খাঁ সাহেব ?” ܘܓ