পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । পিত্ৰালয়ে যাইব কি ? সেখানেই বা বৃদ্ধ পিতামাতাকে বৃৰ্থ অসুখী করি কেন ? একটা তুচ্ছ নারীজীবনের জন্য চারিদিকে অশান্তির আগুন জ্বলি কেন ? হা অদৃষ্ট, কোথাও আর মুখ দেখাইবার উপায় নাই ! হে বিশ্বনাথ, জীবনান্তকাল দহিবার জন্যই কি এই পোড়া রূপ দিয়াছিলে ?” দুঃখে কষ্টে অভাগিনীর গণ্ড বহিয়া অশ্রদ্ধারা পড়িল। যুগল তাহা দেখিতে পান নাই। তিনি মহিলাকে নীরব দেখিয়া কহিলেন, “মা, এখানে দীর্ঘকাল অপেক্ষণ করা ভাল নয়। পাষণ্ডেরা হয় ত জোট বাধিয়া আসিতে পারে। আপনাকে কোথায় লইয়া যাইব শীঘ্ৰ বলুন।” জয় প্রত্যুত্তরে বলিলেন, “পৃথিবীতে কোথাও আমার স্থান ? কথাগুলি সামান্য, কিন্তু উহা বিলাপের সঙ্গে নিরাশার সুরে গাথা, যেমন করুণ তেমনি মৰ্ম্মভেদী। যাহা শুনিলে পাষাণও গলে এ সেই কঠোরহৃদয় দ্রবকারী, হতাশেব রুদ্ধ বেদনার ভাষাময় তপ্তশ্বাস ! ইহা শুনিয়া যুগলের নয়ন অশ্রুসিক্ত হইল। তিনি ভাবিলেন, “হায়, হায় ? পাপিষ্ঠ কি সৰ্ব্বনাশ করিয়াছে! আজি ইনি উহারই জন্য নিরাশ্রয়া, সংসারে নারীর যে প্রধান অবলম্বন তাহা হইতে পরিচ্যুতা, হৃতিসর্বস্ব !” পাষণ্ডের পাপের সমুচিত দণ্ড দিব। আৰ্ত্তের রক্ষা যেমন আমাদের ধৰ্ম্ম, তেমনি গুস্কৃতের দমনও আমাদের ব্ৰত । কিন্তু এখন ইহাকে লষ্টয়া কি করিব ?