পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী রায় । আপাততঃ সেরপুরেই লইয়া যাই, পরে যে ব্যবস্থা হয় করা যাইবে।” যুগল প্ৰকাশ্যে কহিলেন, “মা, আপনার বিংশতি সন্তান নিকটে, আপনার স্থানের অভাব কি ?” জয় । আপনারা এই বিপন্নার সহায়, নিরাশ্রয়ার আশ্রয় { ভগবান আপনাদের মঙ্গল করিবেন। আপনারা যেখানে ইচ্ছা আমাকে লইয়া চলুন। যুবকের জয়াকে লইয়া সেরপুর অভিমুখে চলিলেন। জয়া যাইতে যাইতে ভাবিতে লাগিলেন, “যে সমাজের ভয়ে পতিগৃহে বা পিত্ৰালয়ে গেলাম না, অন্যত্রও সেই আশঙ্কা তুল্যরূপে বৰ্ত্তমান । যেখানে যাইব, অপবাদ সঙ্গে যাইবে, কলঙ্কের পশরা মাথায় লাইতে হইবে। হায় সমাজ, হায় রমণীর জীবন। এখানেও কত লোকে কত কুৎসা রটাইবে, কত লজ্জার কথা বলিবে। বালিকাযুবতী বৃদ্ধার বিদ্রুপ কটাক্ষের বিষদিগ্ধবাণে জর্জরিত হইয়া পরাশ্রয়ে বাস করিতে হইবে। সতী আমি, নিষ্পাপ আমি এ কথা কে বিশ্বাস করিবে ? লোকে বলিবে, আত্মাপরাধস্থালনের জন্য এরূপ অনেকেই বলিয়া থাকে। পতি হারাইলাম, কন্যা হারাইলাম, জাতুি হারাইলাম, আত্মীয় স্বজন পরিজন আশ্রয় সব হারাইলাম, সহায়শূন্য, নিঃসঙ্গা, নিরাশ্রয়া হইলাম। নারীনিগ্ৰহকারীর অত্যাচারে ও তাহার অধিক প্ৰবল অত্যাচারী নিৰ্ম্মম একচক্ষু সমাজের উৎপীড়নে পিষ্ট, দলিত, জর্জরিত হইলাম। মিথ্যা কলঙ্ককালিমা লইয়া কলঙ্কিনী নাম ধারণ করিয়া এই ব্যর্থ জীবনভার বহন করিয়া কি লাভ ? মৃত্যুই আমার একমাত্র গতি, একমাত্র YSJ) 9