পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । - হৃষীকেশ তর্কালঙ্কারের শ্বশুরবাড়ী কাছি কাটা গ্রামে। তিনি বেণীরায়ের স্ত্রীর অপহরণ সংবাদ শুনিতে পাইয়া ব্যস্ত ভাবে শ্বশুরালয়ে আসিয়া দাসীকে জিজ্ঞাসিলেন, “বোবার মা, এরাআঁ্যা-এর এখানে আছে তো ?” বোবার মা কতকগুলি বাসন লইয়া মাজিতে বসিয়াছিল। দ্বিপ্রহর অতীত হইয়া গিয়াছে। জলবিন্দু স্পর্শ করে নাই। কাজেই সে খোস, মেজাজে ছিল না। তর্কালঙ্কারের কথার জবাব দিল না । তখন ব্ৰাহ্মণ আরও কাকুতি মিনতি করিয়া বলিলেন, “তুমি কথা কও না কেন গা ?” মুখও ভার দেখছি। বলি, দিদিমণি এখানে আছে তো ?” বোবার মা রাগ করিয়া বলিল, “থাকবে না তো যাবে কোথায় গা ?” তর্কালঙ্কার । সোজা ক’রে বল, বোবার মা ! সোজা ক’রে বল ! তাকে কেউ ধ’রে নিয়ে যায়নি তো ? বোবার মা । আর তো মানুষ পেলে না ! সত্য বলিতে গেলে অপহৃত হইবার আশঙ্কা তর্কালঙ্কারের স্ত্রীর আদবে ছিল না। রূপ ভয়ে ভয়ে হৃষীকেশ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ীর সংস্পর্শ ছাড়িয়া থাকিত । দাসীর সহিত কথোপকথনে আর সময়ক্ষেপ না করিয়া তর্কালঙ্কার উচ্চৈঃস্বরে শুষ্ঠালকের নাম ধরিয়া གགས་་ ডাকিতে NA 8ܕܬܘܠ