পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ । ফৌজদার জমসেদের কর্ণে এই নারীনিগ্রহের সংবাদ পহুছিবা- * মাত্র তিনি গোয়েন্দা লাগাইয়া গুপ্ত অনুসন্ধান আরম্ভ করিয়া দেন। তাহার ফলে জলিল, খলিল এবং তাহদের সহকারীরা ধৃত হইয়া কারারুদ্ধ হয়। যে যত বড় অত্যাচারী হউক তাহাকে দমন করিতে জমসেদ খাঁ কোনদিন পশ্চাৎপদ ছিলেন না। তিনি জানিতেন, প্ৰজাসাধারণের সন্তোষের উপরই বাদশাহের রাজ্যের ভিত্তি ; হিন্দু হউক, মুসলমান হউক, অপরাধী মাত্ৰেই সমভাবে দণ্ডনীয়। বাদশাহের জাতি বা উজির ওমরাহের আত্মীয় বলিয়া র্তাহার নিকট কাহারও নিস্কৃতি ছিল না । অগৌণে তাণ্ডায় জলিলের শ্বশুর তাহার কারাবাসের সংবাদ জানিতে পারিলেন। তিনি ফৌজদারিবিভাগের কর্তৃপক্ষের দ্বারা জমসেদ খাকে হুকুম দেওয়াইলেন যে অবিলম্বে সর্দার জলিল খাকে যেন মুক্ত করা হয়। ফৌজদার।” এইরূপ বে-আইনি আদেশ পালন না করিয়া জলিলের সংক্রান্ত সকল বিবরণ সরকারে পেশ করিলেন। তাহাতে কোন ফল হইল না। কর্তৃপক্ষ জানাইলেন, *বাদশাহের অমাত্যের আদেশপালনই ফৌজদারের কৰ্ত্তব্য। র্তাহাকে ন্যায়ান্যায় বিচার করিতে বলা হয় নাই। হুকুমমাত্রে ” সর্দার জলিল খাকে কেন মুক্তি দেওয়া হয় নাই তাহার সন্তোষজনক কৈফিয়ৎ যেন সপ্তাহকালু মধ্যে দাখিল করা হয়।” জমসেদ খাঁ ইহার কোনই কৈফিয়ৎ না দিয়া কাৰ্য্যে ইস্তফা দিলেন। তিনি মনে মনে পাঠান রাজত্বের অতীত ও বর্তমান অবস্থা আলোচনা করিয়া ভাবিতে লাগিলেন, “হায় কত কষ্টে, কত Q ○