পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী রায়। কথাগুলি সহসা গোবিন্দ সিংহের মৰ্ম্মের ভিতর আঘাত করিল। তিনি ভাবিতে লাগিলেন, আজ পর্যন্ত মানুষের মত কি কি কাজ করিতে পারিয়াছেন। অনেক সময় এক একটি ক্ষুদ্র কথা আমাদিগকে আত্মবিচারে প্রবৃত্ত করে, কিন্তু উহা শীঘ্র এমনি কষ্টকর হইয়া দাড়ায় যে আমরা তৎক্ষণাৎ জেরার মাঝখানে বিচারকাৰ্য্য স্থগিত করিয়া বসি। গোবিন্দসিংহও তাঁহাই করিলেন। অবশেষে তিনি বেণীমাধবকে বলিলেন, “পুৱা মানুষ হইতে পারিলাম। কই, ভাই ! এখন দিনকাল গিয়াছে, বুড়া হইয়াছি।” বেণী রায় সেই হইতে শ্ৰীপুরের বনে বাস করিতে লাগিলেন। কয়েক দিন পরে তিনি দলপতিকে জিজ্ঞাসিলেন, “আচ্ছ, সর্দার গোবিন্দ সিং, আপনি লোকালয় ছাড়িলেন কেন ?” গোবিন্দ সিংহ । সে অনেক কথা । আজ তাহ আবার মনে করিয়া দিলে কেন ভাই ? একদিন আমারও সব ছিল। ধনদৌলত আত্মীয় পরিজন কিছুরই অভাব ছিল না। আমরা তিন পুরুষ হইতে বাঙ্গালায় বাস করিতেছি। নাগর নদীর ধারে জামালগ্রামে আমাদের দু’শ বিঘা জমি ছিল, হাল লাঙ্গল ছিল, খাসখামার ছিল। বিষয়সূত্রে আলফু মিঞার পিতার সহিত আমার পিতার ভয়ানক বিরোধ উপস্থিত হয়। ক্রমে উভয় পক্ষে দাঙ্গা আরম্ভ হয়। তাহাতে আমাদের দুই দলেই অনেক লোক হতাহত হয়। ফৌজদার স্বয়ং এই ঘটনা তদন্ত করিতে আসেন। কিন্তু তিনি আমাদেরই দোষ বেশী বলিয়া পক্ষপাতিত্ব প্ৰদৰ্শন করিতে আরম্ভ করেন। তাহাতে পিতা বিদ্রোহী হন। আমি 0