পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী রায়। বেণী । বেশ, তা” মন্দ কি ? সেই হইতে বেণীমাধব গোবিন্দ সিংহের নিকট লাঠিখেলা, অস্ত্ৰবিদ্যা, ধনুৰ্বিদ্যা, মল্লযুদ্ধ ও বন্দুক চালনা প্রভৃতি শিক্ষণ করিতে লাগিলেন। কয়েক মাসের মধ্যেই তাহার অপরিসীম। পারদর্শিত দর্শনে সর্দার পুলকিত হইলেন। একদিন বানপাশ্বাস্থ প্ৰান্তরে নিস্তব্ধ নিশীথে দলপতির অনুজ্ঞাক্ৰমে, কৃত্রিম যুদ্ধ হইল। তাহাতে বেণীমাধব অসামান্য নৈপুণ্য প্ৰদৰ্শন করিলে সর্দার মুগ্ধ হইয়া কহিলেন, “ভাই, মনে করিয়াছিলাম, তোমার জ্ঞানই অগাধ, এ সব কাজে তুমি কৃতিত্ব দেখাইতে পরিবে না। আজ আমার সে ভ্ৰম ঘুচিয়াছে। এখন হইতে আমার দৃঢ় প্রত্যয় জন্মিয়াছে, এই দুর্দিনে তুমি বরেন্দ্র ভূমের মানসন্ত্রম রক্ষা করিতে পারিদ্ৰে, আৰ্ত্তকে ত্ৰাণ করিতে পরিবে, তোমার সাহসে, বাহুবলে ও কৌশলে পাযণ্ডের ত্ৰাস জন্মিবে ও লোকে ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম নির্বিঘ্নে করিতে পরিবে।” . 来 来源 来源 来源 米 এদিকে জয় মৃত্যুশয্যায় শায়িতা । সুনন্দ অক্লান্তভাবে তাহার সেবা করিতেছেন। রোগিণীর সকল লক্ষণই খারাপ । তার উপর তিনি ঔষধ সেবন করেন না, জীবনের মায়া একেবারে ছাড়িয়া দিয়াছেন । একদিন জয়া বলিলেন, “মা নন্দ, তুমি আমার জন্য এত করছি কেন ? আমার দিন ফুরিয়ে এসেছে।” ԳՀ