পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দদশ পরিচ্ছেদ } চঞ্জী তখন ছেলেমানুষ। সে আমাকে না চিনিলেও আমি তাহাকে ভূলি নাই। স্থির জানিও, তাহাকে উদ্ধার না করিয়া আমি জলবিন্দু স্পর্শ করিব না। কেমন, তোমরা প্ৰস্তুত ?” সকলেই সমস্বরে তাহাতে সম্মতি জানাইল, কিন্তু দলপতিকে যাইতে বারণ করিল। বেণী রায় বলিলেন, “আজ বড়ই ঠাণ্ড পড়িয়াছে। আপনার যাওয়া ঠিক হইবে না । এ কাজ আমরাই উদ্ধার করিয়া আসিতে পারিব।” গোবিন্দ সিংহ। ভাই, বুড়া হাড়ের জন্য বেশী চিন্তা করি ও না । চণ্ডীকে আমি নিজে খালাস করিতে না পারিলে আমার ননের তৃপ্তি হইবে না । গোবিন্দ সিংহ স্থির সঙ্কল্প, কোন নিষেধ মানিলেন না । তখন বেণী রায় বলিতে লাগিলেন, “সংবাদদাতার মুখে যেরূপ শুনিলাম, তাহাতে আমার মনে হয় শুধু চণ্ডী প্ৰসাদ কেন, কারারুদ্ধ সকল ব্যক্তিকে মুক্তিদান করা সঙ্গত। তাহাতে আমাদের লাভ যথেষ্ট। যদি আমরা বন্দীদিগকে উদ্ধার করি৮ে পারি। তাহা হইলে তাহারা কোনমতে গৃহে ফিরিয়া * পরিবে না । কারণ, তাহাদিগের পুনরায় গ্রেপ্তার হক্টররি ও গুরুতর দণ্ড ভোগ করিবার বিশেষ ভয় রহিরে। এমতস্থলে যদি তাহাদিগকে এই বনে আশ্রয় দিবার * প্ৰস্তাব করা যায়। তবে তাহারা সানন্দে আমাদের অনুগমন করিবে। মুক্তির জন্য ও আশ্রয়লাভের জন্য তাহারা উভয়তঃ আপনার নিকট কৃতজ্ঞ রহিবে । ভাবিয়া দেখুন, এইরূপে দল পুষ্ট করায় লাভ কত। আমাদের ዓ@