পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দদশ পরিচ্ছেদ। শ্ৰীহার পর আর কয়েকজন হতাহত হইতেই অবশিষ্ট সান্ত্রিীরা পৃষ্ঠভঙ্গ দিল। কারাগারের চত্বরের মধ্যে যে সব সিপাহী প্রহরা দিতেছিল গোলযোগ শুনিয়া তাহারা সঙ্গীদিগের সাহায্যে উপস্থিত চইয়াছিল। কিন্তু সকলে যাহা করিল উহারাও তাহাই করিল, অর্থাৎ পরিপাটিরূপে চম্পট দিল। গোবিন্দ সিংহ ও বেণী রায় তখন প্ৰত্যেক কক্ষ হইতে বন্দীগণকে মুক্ত করিলেন। মুক্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে চণ্ডী প্ৰসাদকে দেখিয়া দলপতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলেন। র্তাহার আদেশক্ৰমে বন্দীর তাহার অনুগমন করিতে লাগিলেন। এই ভাবে বহু গ্রাম ও প্ৰান্তর অতিক্রম করিতে করিতে রজনী প্ৰভাত হইলে সকলে শ্ৰীপুরের বনের ভিতর প্রবেশ করিলেন। তখন গোবিন্দ সিংহ কহিলেন, “আজ আপনার এই বনে আমার অতিথি ।” চণ্ডী প্ৰসাদ জিজ্ঞাসা করিলেন, “আজ আমরা যাহার কৃপায় কারামুক্ত হইলাম, তাহার নাম জানিতে পারি কি ?” গোবিন্দ সিংহ। চণ্ডী, সে তোমাদেরই. আশ্রিত-গােবিন্দ সিং الأصم দাসু্যসর্দার গোবিন্দ সিংহের নাম/সে অঞ্চলে সকলেই জানিত মুক্ত ব্যক্তিরা সবিস্ময়ে ও সকৌতুহূর্ণ র্তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া রহিলেন । সকলের চেয়ে সৰ্বস্মিত হইলেন চণ্ডী প্ৰসাদ রায়। তিনি ভাবিতে লাগিলেন, “ইনি আমাকে ভাল রকমই চেনেন দেখিতেছি। অথচ ইহার সঙ্গে আর কখন দেখা হইয়াছে বলিয়া মনে তো পড়ে না ।” a