বেণী রায়। বদ্ধিত শক্তির নিকট অত্যাচারীদের শক্তি ক্ষীণ হইবে, দুৰ্ব্বস্তুদিগের যথেচ্ছাচারিতার স্রোত রুদ্ধ হইবে, তাহারা আর যাহত খুসী। তাহা করিতে পরিবে না। তাহাদিগের কাৰ্য্যে বাধা দিবার জন্য এক বিরাট সম্প্রদায় আছে জানিলে তাহাদের অত্যাচার অনেক কমিবে। তাই বলি, যখন সরকারি কারাগার আক্ৰমণ করাই স্থির হইল তখন সকল কয়েদীকে মুক্ত করাই সঙ্গত নয়। কি ?” গোবিন্দ সিংহ এই প্ৰস্তাব সোৎসাহে অনুমোদন করিলেন । কালবিলম্ব না করিয়া দসু্যগণ অস্ত্রশস্ত্ৰ লইয়া কারাগার অভিমুখে যাত্ৰা করিল। বেণীমাধবও তাহদের সঙ্গে চলিলেন । নিবিড় নিশীথে কারাগারের প্রহরীরা নিশ্চিন্ত মনে বিশ্রাম সুখ উপভোগ করিতেছিল। কেহ ঝিমাইতেছিল, কেহ ঘুমাইতেছিল, কেহ বিরাহিণী প্ৰণয়িণীর সহিত মিলনের সুখস্বপ্ন দেখিতেছিল । - মাদুর ফাটকের দুইজন সান্ত্রী সজাগ থাকিয়া প্রহরা দিতেছিল: { তাহাদের একজন ভৃত্যুতমকে বলিল, “এ ভজন সিং, ইধার কোইঃ আদমি আ রাহা হায় "ভজন সিং বলিল, “সাচুমুচু ভাইয়া,- কোই শালা চোট্টা নিকাল যা রূহ। হায়,-এ, হে, কে হায় ?” আর কো হয় ? আক্রমণ, সূরীরা যুগপৎ তাহাদিগের উপর লাফাইয়া পড়িল। যাহাদের নিদ্রাভঙ্গ হইল তাহারা উঠিয়ঃ দাড়াইতে না দাড়াইতে উহারা তাহদের বন্দুক ও তলোয়ার কাড়িয়া লইল । কারাধ্যক্ষ সরকারের জন্য প্ৰাণপণে লড়িয়া নিহত হইলেন । -AV
