श्रेिडीशू *द्धि চ্ছেদ । সাধু বালকের ন্যায় কাদিতে লাগিলেন । বেণী তখন যুগল ও চণ্ডীকে আদেশ করিলেন, “এই রজ্জ্ববিদ্ধ ব্যক্তিদিগের বন্ধন মুক্ত করিয়া উহাদিগকে কামালপুরে ছাড়িয়া" দাও । আজ হইতে আর নরবলি হইবে না । মাকে হৃদয়ের শোণিত দিয়া পূজা করিতে হইবে, অন্য শোণিতে প্রয়োজন নাই । মা আর যবনমর্দিনী নন, এখন হইতে তিনি শুধু রক্ষাকালী!” মুসলমানের সহিত ধৰ্ম্ম লঈয়া হিন্দু কোনদিন বিবাদ করে নাই। তাহারা রাজত্ব লইয়া রণক্ষেত্রে মুসলমানের সহিত যুদ্ধ কবিয়াছিল, অত্যাচার অরাজকতার বিরুদ্ধে বীরদাপে দাড়াইয়াছিল। যে সব অপরিণামদশী মুসলমান বাদশাহ ও শাসনকৰ্ত্তা হিন্দুর রনিয়াদ ভাঙ্গিতে চেষ্টা করিয়াছিল তাহারা সকলেই ব্যর্থকাম হইয়াছিল। সহস্ৰ নিৰ্য্যাতনেও মুসলমানেরা হিন্দুর হিন্দুত্ব লোপ করিতে পারে নাই, বরং তাহারাই এদেশবাসী হইয়া গেল, এদেশের পরিচ্ছদের কতক কতক পরিবর্তন করিয়া আকবা-জাকিবা চোগ চাপিকান বানাইল বা ধুতি চাদর পরিল, বীণ ভাঙ্গিয়া সেতার গড়িল, মল্লার ভাঙ্গিয়া মিঞা মল্লার করিল ও হিন্দীভাষা ভাঙ্গিয়া উর্দ ভাষা গড়িয়া লইল বা বাঙ্গালাকেই মাতৃভাষারূপে গ্ৰহণ করিল, কেবল ধৰ্ম্মে উভয় জাতি পৃথক বহিয়া গেল। এহেন নিকটতম মুসলমানের প্রতি হিন্দু চিরকালই প্রতিবেশীসুলভ। উদারতা ও সৌহার্দ্য দেখাইয়া আসিয়াছে। যখনই এই সদ্ভাবের বিপৰ্য্যয় হইয়াছে তখনই তাহার মুলে কোন না কোন অত্যাচার প্রচ্ছন্ন থাকিতে দেখা গিয়াছে। বেণী রায়ের যবনমর্দিনী কালী প্ৰতিষ্ঠার ܬܬ
