পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী রায়। কাজিম চিঠিখানা নাড়িয়া চড়িয়া পড়িতে লাগিল ও পড়িতে পড়িতে হাসিতে লাগিল। তাহা দেখিয়া আলফু মিঞা বলিলেন, “কি, তুমিও যে হাসি থামাইতে পারিতেছ না।” কাজিম। ভাবছি, কোন ইয়ার বোধ হয় রগড় ক’রে এই চিঠিখানা লিখেছে। আলষ্ণু মিঞা। না হে না, এ সেই পণ্ডিত ডাকাতেরই চিঠি। এইটুকু বুঝিতে পারিতেছি না ? কাজিম আবার মনোযোগ সহকারে চিঠিখান দেখিয়া বলিল, “তাইত, ঠিক বলিয়াছেন, এ সেই বেটারই কাজ।” ইহা বলিয়া চাটুকার আবার একটু হাসিল। আলষ্ণু মিঞা তাহা দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “বড়ই হাসিতেছ। যে ?” কাজিম। বেতমিজের সাহস দেখে। বেটা যেন তুর্কির সুলতান, দণ্ডমুণ্ডের কৰ্ত্তা ! আলষ্ণু মিঞা। এই পরিখা, এই সব সান্ত্রীরা যেন বৃথাই রয়েছে। একটা ডাকাতের ভয়ে আলফু মিঞাকে পত্র পাঠ হুকুম তামিল করিতেই হইবে, নয় কি ?-হা হা ! কাজিম। এত বড় নবাববাড়ী, এত লোক জন, এত অস্ত্রশস্ত্ৰ অমনি আছে কিনা ! হা হা, এস না বাছাধনের একবার সৈয়দ মহম্মদ আলফু মিঞা সাহেবের খাইয়ের কাছে, বুঝিবে মজা! श श ! আলফু মিঞা বলিলেন, “কাজিম, দেখ এই পণ্ডিত ডাকাইতের S 8V