পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ । বেণী রায়ের কাণ্ডে জেকি খাঁ অগ্নিমুক্তি ধারণ করিয়াছেন। “তাহাকে দমন করিতে বদ্ধপরিকর হইয়াও কোন প্ৰতিকার করিতে না পারিয়া তাহার ক্ৰোধ আরও বৃদ্ধি পাইয়াছে। বেণী রায় এক স্থানে স্থির থাকিতেন না। আজ এখানে, কাল সেখানে দুৰ্ব্বত্তকে শাসন ও আৰ্ত্তকে রক্ষা করিয়া বেড়াইতেন। চতুর গোয়েন্দারাও তাহার সন্ধান জানাইতে না পারিয়া ব্যৰ্থকাম হইয়া সদরে খবর দিল যে এ দুষমনকে গ্রেপ্তার করা তাহদের সাধ্যাতীত। ফৌজিদার বিরক্ত হইয়া তাহাদিগকে বরখাস্ত করিলেন। এমন সময়ে সংবাদ আসিল, পণ্ডিত ডকাইত চলন বিলের ভিতর সরকারের নৌকা লুঠ করিয়া মালগুজারির টাকা লইয়া সরিয়া পড়িয়াছে। জেকি খা আরও কুপিত হইলেন। তার পর পেস্কার ডাক লইয়া মফঃস্বল হইতে আগত চিঠির পর চিঠি পড়িয়া যাইতে লাগিলেন। সকল পরগণা হইতেই কোতোয়াল ও দারোগারা প্ৰত্যেক কোতোয়ালিতে এক এক দল ফৌজ মোতায়েন করিতে প্রার্থনা জানাইয়াছে। তাহারা লিখিয়াছে, “এই পাওঁীত ডকাইত বেনি রায় অতিব দুৰ্ব্বধৰ্শ বেক্তি । সে শরবত্র লুঠ তরাজ করিয়া বেড়াইতেছে ও জমিদারদিগের নিকট হইতে কর আদায় করিতেছে। বলিতেছে, পাঠান এ দেস সাসন করিতে অক্ষম বিধায় আমীই এ দেশ সাসনের ভার লইয়াছি। এই Yd o So