পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী রায় । দােঙ্গুর আস্পদ্ধ। এমন বাড়িয়াছে যে অবিলম্বে থানায় থানায় ফৌজ না পাঠাইলে সরকারের সাসন কাৰ্য্য শুচারু রূপে নীৰ্বাহ হওয়া দুরুহ। এমত স্থলে হুজুর শত্তর যেরূপ হয় বিহীত করিবেন। ইতি।” পত্রগুলির অভিপ্ৰায় জানিয়া ফৌজদার ক্রোধান্ধ হইয়া কোতোয়াল ও দারোগাদিগের কাহাকে বরখাস্ত করিলেন, কাহাকে বদলি করিলেন, কাহাকে ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করিয়া দিলেন । তাহার দৃঢ় বিশ্বাস উহাদের অক্ষমতাপ্ৰযুক্তই পণ্ডিত ডকাইত ধরা পড়িতেছে না । এদিকে দিন দিন বেণী রায়ের প্রতাপ বাড়িতে লাগিল । তিনি বরেন্দ্ৰভূমি হইতে পাঠান শাসন উচ্ছেদ করিতে উঠিয়া পড়িয়া লাগিলেন। সরকারি কাছারি ও ফৌজদারের কুঠি প্ৰভৃতি জ্বালাইয়া দিয়া তিনি পাঠান রাজকৰ্ম্মচারিগণকে উত্যক্ত করিয়া তুলিলেন, রসদ ও খাজানা লুঠিতে লাগিলেন, অত্যাচারী রাজপুরুষদিগের যমস্বরূপ হইলেন। উৎপীড়নকারীরা দণ্ডের ভয়ে ভাল, মানুষ সাজিল, শিষ্টের মুখোষ পরিয়া শাস্তির হাত এড়াইল । যাহারা পণ্ডিত ডকাইতকে কখন দেখে নাই তাহারাও তঁাহার নামোচ্চারণে আতঙ্কে কাপিয়া উঠিল। সমগ্র বরেন্দ্রভূমে তাহার অসামান্য প্ৰতাপ, তাহার শক্তির কাছে সকল শক্তি স্তব্ধ। “বেণী রায়ের দোহাই’ অগ্ৰাহা করিবার সাহস সে অঞ্চলে কাহারও ছিল না । এত দুদ্ধৰ্ষ হইলেও বেণীমাধব কখন সীমা লঙ্ঘন করিতেন না । সমুদ্র আপনার বেগে আপনি চঞ্চল, প্ৰবল, অপ্ৰতিহত, তবু সীমা SS o