পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्दका 2दिCbछा । বেণী রায়, সুগল ও চণ্ডী একসঙ্গে বসিয়া আছেন। সকলেই নীরব। তঁহাদের মুখে চোখে চিন্তার পাণ্ডুর রেখা দেখা যাইতেছে।. কিয়ৎক্ষণ পরে বেণী রায় নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিয়া কহিলেন, “দেখিলে, বরেন্দ্ৰভূমির একটি লোকও মোগলের বিরুদ্ধে আমাদের সহায়তা করিতেছে না । ভাদুড়িয়া পাঠানের জন্য লড়িয়াছিল। যুদ্ধে পরাজিত হইয়া মোগলের সহিত সন্ধি করিয়াছে। সঁতোড়, তাহিরপুর, ছাতক প্রভৃতির পরাক্রান্ত ভূস্বামীরা সকলেই মোগলের পক্ষে। হিন্দুরাজ্যস্থাপনে কাহারও আগ্ৰহ নাই। সকলই কালের প্রভাব । ত্রিসংসার কালের অধীন। কালে মোগল ভারতের অধিপতি । এই মোগলকে বিতাড়িত করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। দাউদ শাহ এত পদাতিক ও অশ্বরোহী সৈন্য থাকিতে, এত রণতরী ও যুদ্ধ হস্তী থাকিতে, এত কামান থাকিতে যাহা পারেন নাই, মুষ্টিমেয় লোকবল লইয়া আমরা কিরূপে তাহ পারিব ? যতদিন মোগল এদেশে শাস্তিস্থাপন করিতে না পারে। ততদিন আমরা লোক রক্ষণ করিব। তারপর আমাদের দল রাখিবার দরকার হইবে না। পাঠান মুখ, প্ৰজার অসন্তোষে রাজ্য হারাইল, মোগল চতুর, প্ৰজার সন্তোষই তাহার রাজ্যশাসনের মূলসূত্র। শুনিয়াছি, আকবর প্রজারঞ্জক বাদশাহ। তিনি প্ৰজাদিগকে তুষ্ট রাখিয়া দেশ শাসন করিতে পারিলে আমাদের & 8