পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ । অস্ত্ৰধারণের আর কোনই প্রয়োজন রহিবে না। এ দল ভাঙ্গিয় দিয়া আমি হিমাচলে চলিয়া যাইব, জীবনের শেষ কয়টা দিন যোগসাধনায় কাটাইবি ।” যুগল। মোগলেরা যতই ভাল হোক না কেন, হিন্দু জন সাধারণের স্বাৰ্থ অধিকার রক্ষা করিবার জন্য আমাদের বর্তমান দল রাখা উচিত মনে করি। আপনি চলিয়া গেলে অরাজকতা আবার তাহার ফনা বিস্তার করিবে। তখন কে দুৰ্ব্বত্তকে प्रदान করিবে, দুর্বলকে আশ্রয় দিবে ? বেণী রায়। একটা ভাব জলাশয়ে নিক্ষিপ্ত লোষ্ট্রখণ্ডের মত । প্রথমে একটা ক্ষুদ্র বৃত্ত, পরে একটা বৃহৎ বৃত্ত, তার পর আর একটা বৃহত্তর বৃত্ত, এইরূপে একই বৃত্ত হইতে বৃত্তের পর বৃত্ত, অনন্ত বৃত্ত উৎপন্ন হয়। দেশের চিত্তবাপীতে ভাবের বিস্তারও সেইরূপ । উহা ধীরে ধীরে এক হইতে বহুতে ব্যাপ্ত হয়। মানুষ যায়, ভাব থাকে। আমি গেলেও আমার ভাব থাকিবে । লোকাভাব হইবে না । যুগল। কিন্তু সে লোক আপনার মত হইবে না। এ জগতে যেটি যায় ঠিক সেটি আসে না । আমরা সামান্য সদিচ্ছা লইয়া কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছিলাম। আপনি তাহাকে বিরাট আকার দিয়াছেন। আমরা দুই একটি সামান্য লোককে সায়েস্তা করিতে পারি নাই, আপনি শত দুৰ্দান্ত দুৰ্ব্বত্তকে দমন করিয়াছেন । আপনার ভয়ে পাঠান রাজশক্তি থর থর কঁাপিত, অতি প্ৰতাপী মোগলশক্তিও সর্বদা সশঙ্ক, আপনার তুল্য কে আছে ? আপনি S RGt