পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । এদিকে হৃষীকেশ ঠাকুরের কন্যাদায় উপস্থিত। ইহা ছাড়া , র্তাহার। আর একটি ভগ্নীও বিবাহযোগা। অথচ অর্থাভাবে তিনি কাহারও বিবাহ দিতে পারিতেছেন না। দুইটি পাত্ৰ স্থির আছে, কিন্তু আবশ্যকীয় ধন সংগ্ৰহ হইতেছে না। তিনি যে জমিদারের বাড়ীতে যান। সেখান হইতেই ক্ষুন্নমনে ফিরিয়া আসেন। বেণী রায়কে যে সব ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতেরা জব্দ করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন, তঁহাদের নেতাদিগকে কোন বারেন্দ্র জমিদার সাহায্য করিতে প্ৰস্তুত ছিলেন না। হৃষীকেশ সৰ্ব্বত্র নিরাশ হইয়া ভাদুড়িয়ার, রাজার নিকট গেলেন। সেখান হইতেও কোনরূপ অর্থসাহায্য না পাইয়া তিনি বিষঃমনে সাতগড়ার ‘রাজার ঘাটে” উপস্থিত হইলেন। ঘাটে একখানি ছিপ বাধা ছিল। আরোহীরা তখনই ছিপ ছাড়িয়া দিবে দেখিয়া হৃষীকেশ তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ওহে, তোমরা কোথায় যাইবে ?” নৌকা হইতে এক ব্যক্তি হৃষীকেশকে চিনিতে পারিয়া কহিলেন, “কামালপুরে। কেন, ঠাকুর মশায়ও কি সেইখানেই যাইবেন ?” হৃষীকেশ। হা, আমাকে তোমাদের ছিপে লইয়া চল, আমি তোমাদিগকে আশীৰ্ব্বাদ করিব। SS