পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । ভানু সিংহের সহিত কথোপকথনন্তে বেণী রায় কৈতের চরে ফিরিয়া আসিতেছেন। তাহার হৃদয়-সাগর ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিয়াছে। তিনি তাহার অতীত, বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ আলোচনা করিয়া মনে মনে কহিতেছেন, “যাই, আমার সময় হইল। নিয়তির গতিরোধ করিবার শক্তি মানুষের নাই। যে নিয়তির বলে সাত্ত্বিক বেণী রায়কে রাজসিক মূৰ্ত্তি গ্ৰহণ করিতে হইয়াছিল তাহারই বলে আবার তাহার সাত্ত্বিক রূপ প্ৰকট হইবার উপায় হইল। মন্দ কি ? দুঃখ রহিল, এই অভিশপ্ত দেশে অকালে আমার কাৰ্য্যাবসান হইল, কেহ আমায় চিনিল না, আমি কাৰ্য্যক্ষেত্ৰ পাইলাম না । জনসাধারণ মুন্সী, খাজাঞ্চি, মজুমদার, সরকার হইবার জন্য ব্যস্ত, ভূস্বামীরা রান্ন, রায়রায়া, চৌধুরী, রায় চৌধুরী হইতে উৎসুক, সকলেই যাচিয়া মান লইবার জন্য ইচ্ছুক। ইহা যুগধৰ্ম্ম। মোহের দিনে এমনি হয় বটে। কিন্তু স্থির জানি, এই মোহ শারদপ্ৰভাতের মেঘাড়ম্বর মাত্র ; দুদিনের মোহ দুদিনে কাটিবে, আত্মপ্ৰত্যয় আবার জাগিবে । মা আমায় যে কাজ করিতে পাঠাষ্ট্ৰীয়াছিলেন তাহা যথাসাধ্যা করিয়া গেলাম। এখন মায়ের ছেলে মায়ের কোলে ফিরিয়া যাই।” এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে তিনি কৈতের চরে পহুছিলেন। তারপর সন্ধ্যাবিন্দন সমাপন করিয়া কালী মূৰ্ত্তির সম্মুখে উপবেশন করিলেন। বাহ্যজ্ঞানশূন্য হইয়া S8S