পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী রায় । অবধি নাই। শোকে যে শান্তি, দুঃখে যে আশা, সংসারে যে সুখ, ধৰ্ম্মে যে সঙ্গিনী, ভগ্নহৃদয়ে যে বিশল্যকরণী তাহাকে যখন হারাইয়াছি তখন আর এ জীবনে প্ৰয়োজন কি ? পিপাসায় যে বারি, তুফানে যে কাণ্ডারী, আঁধারে যে আলো, আকাশে য়ে ইন্দ্ৰধনু, শরতে যে জ্যোৎমা, বসন্তে যে মালয়, তাহাকেই যদি না পাইলাম। তবে আর বঁাচিয়া কি করিব ? জ্ঞানে যে উৎসাহ, কৰ্ম্মে যে প্রেরণা, শ্ৰদ্ধায় যে সত্যভামা, প্ৰণয়ে যে পাৰ্ব্বতী, তাহাকেই হারাইলাম তাে বাঁচিয়া থাকি কেন ? ভোগে যে সংযম, ভজনায় যে চিত্তশুদ্ধি, বিষয়ে যে অনাসক্তি সেই চলিয়া গেল তো এ প্রাণ রাখিয়া কি লাভ ? আদরিণী জয়া আমার আজ দাসু্যকবলে শ্যেনকৃত কপোতীর মত কত ভীতা, কম্পিত, বিপন্ন । আর আমি এমনি হতভাগ্য যে স্বহস্তে সেই দত্ম্যর শিরশেদুদ করিতে পারিলাম না ! কেন তাহাকে ছাড়িয়া গেলাম ? কেন গৃহে রহিলাম না ? যে পাপিষ্ঠ নরাধম। আমার হৃদয়ের ধন এমনি করিয়া কাড়িয়া লইল, জড়িত লতাকে বিটপিবক্ষ হইতে এমনি সবলে ছিন্ন করিল। তাহার শোণিত-তৰ্পণে কেন অত্যাচারের প্রতিশোধ লইতে পারিলাম না ? শুধু অশ্রুবর্ষণের জন্য কেন বঁচিয়া রহিলাম ?—এস মরণ, এস ঈপ্সিত, চিরবাঞ্ছিত, দীনশরণ, দুঃখহরণ, এস ! তোমার অমৃত ক্রোত্যুে আমায় চির বিশ্রাম দাও ! আর যে সহে না, হৃদয়ের জ্বালা আর যে সহিতে পারি না । জয় ! জয়া ! জয় ।” শোকে মুহমান যুবক চলন হ্রদে বাপ দিতে গেলেন, পায়ে একটা