পাতা:বেণী রায় (সংখ্যা ১) - সত্যরঞ্জন রায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণী রায়। আছে অন্যায়ের উপর ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা, ভাণের উপর আন্তরিকতার আচ্ছাদন, পুণ্যের নামে পাপের প্রসার, কান্নার উপর হাসির মুখোষ, শক্তিমত্তার উপর শঠতা ও যথেচ্ছাচারিতার ভিত্তি। ইহজগতে শান্তি ? — পর্ণকুটীরে রত্ন, অমানিশায় কৌমুদী, শৈশবে পূর্ণতা, সম সম্ভব হইতে পারে, অসম্ভব পৃথিবীতে শান্তির চন্দ্ৰলোক। এই অনিত্যধাম যদি শান্তির নন্দনই না হইল, তবে অনন্ত জ্বালা সহিবার জন্য এখানে থাকিতে চাহিবে কে ?-জগৎ, বিদায় ! সংসার, বিদায়! আমি চলিলাম, সেই চিরশান্তিনিকেতনে চলিলাম, যেখানে প্ৰেম আছে, কিন্তু প্রেমের মরণ নাই,- সুখ আছে, কিন্তু সুখের বিনাশ নাই,-আনন্দ আছে, কিন্তু আনন্দের অন্ত নাই। জয়া, ইহলোকে তোমাকে আর পাইব না। কিন্তু সেই জীবনের পরপারে অনন্তের যাত্রী। আমি আবার তোমায় পাইব, পাইয়া হারাইব না। একদিন তুমিও সেখানে আসিবে। তখন অনন্ত প্রেমের অনন্ত সুখ উভয়ে অনন্তকাল ধরিয়া ভোগ করিব, অনন্ত মিলনে অন্তরের জ্বালা জুড়াইব ।” শ্মশানচারী যুবক এবার স্পষ্ট শুনিতে পাইলেন, লহরের পর লহর তুলিয়া সুকণ্ঠে কে যেন গায়িতেছে,- “নিবিড় আঁধারে মা, চমকে ও রূপরাশি !” । প্ৰেতভূমিতে মনুষ্যকণ্ঠনিঃস্থত সঙ্গীতঁ ! গায়ক গায়িতে লাগিলেন,- p “নিবিড় আঁধারে মা, চমকে ও রূপরাশি, তাই যোগী ধ্যান ধরে। হ’য়ে গিরিগুহাবাসী !”