পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ সাতগায়ের উত্তর সীমায়। আর একটি নদী-আরও উত্তরে গিয়া পশ্চিমবাহিনী হইয়াছে, সেই নদী ধরিয়া নৌকা চলিল। নৌকায় আচারাদির সব ব্যবস্থা ছিল, কাহারও কোনও কষ্ট হইল না । সন্ধার সময় নৌকা একটা গ্রামে উঠিল, সকলে নামিল। নিকটেই একটি বিষ্ণু-মন্দির ছিল । তাহার পাশেই একটি একতালা পরিষ্কার বাড়ীতে মায়ার বাসের স্থান দেওয়া হইল। মায়া দেখিল, নিকটেই একটা কুমারের কারখানা। তাহার জানালার নীচেই একজন কুমার তাহার স্বামীর সেই ছবি সামনে রাপিয়া এটেলা মাটিতে মূৰ্ত্তি গড়িতেছে। মূৰ্ত্তিটি এদিক ওদিক করিয়া ঘুরাইতেছে ; ছবি দেখিতেছে, আর পাতলা বাশের চেচাড়ি দিয়া এটেলা মাটী চাচিতেছে। কখনও বা চাচিতেছে, কখনও বা কোথাও মাটী দিতেছে, আবার চাচিতেছে । মুক্তির দিকে বার বার চাহিতেছে। কখনও তাঙ্গার মুখ বেশ প্ৰসন্ন হইতেছে ; কখনও সে ভ্ৰ, কুঞ্চিত করিতেছে। আবার চেচাড়ি ধরিতেছে, একবার ছবিখানি দেখিতেছে, আবার মাটির মুষ্ট্রির দিকে চাহিতেছে। এইরূপ করিতে করিতে সন্ধ্যা হইয়া গেল । সে কারখানার ঘরটি বন্ধ করিয়া ছবিখানি একটি বাক্সের মধ্যে পুরিয়া চলিয়া গেল । জানালায় বসিয়া মায়া সব দেখিলেন । ধাই দেখিল, ধনীর ধাই দেখিল, তাঙ্গাদের বিশ্বাস হইল, মঙ্করী যাহা বলিয়াছিল, সব সত্য। সত্যসাতাই মুক্তি গড়া হইতেছে, সত্য-সতাই মূৰ্ত্তিতে প্ৰাণ আসিবে, সত্য-সত্য মুক্তি কথা কহিবে। ঘর চাইতে চলিয়া আসায় তাহাদের মনের যে উদ্বেগ চইয়াছিল, দেখিয়া শুনিয়া তাহার অনেকটা দূর হইল। পরদিন মায়া কুমারকে ডাকাইয়া বলিলেন যে, সে যত শীঘ্ৰ মৃত্তি করিয়া দিতে পারিবে, ততই তাঙ্গার। গুসী হইবে এবং তাঙ্গাকে বেশ দ্রু-পয়সা বকসীস দিবে। কুমার বলিল, “আমার যতদূব সাধ্য আমি শাস্ত্ৰ a V