পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে শীঘ্রই করিব। কিন্তু এ সব ত কলের কাজ নয়। হাড়ী গড়া নয় যে, চাকা ঘুরাইয়া দিলাম, আর হাড়ী গড়া হইল। কত যে ছোট ছোট জিনিষ দেখিতে হয়, কত যে কষ্ট স্বীকার করিতে হয়, কত যে চাচিতে চয়, তাহার ঠিকানা নাই। আর আমরা যে মুক্তি গড়ি, কোনও জায়গায় যদি এতটুকুও দোষ থাকে, আমাদের ঘুম হয় না। যতক্ষণ মুক্তিটি ঠিক না হয়, ততক্ষণ আমাদের ছাড়িয়া দিবার হুকুম নাই। প্রতিমা গড়া ও সঙ্গজ, কেন না। তাহার মাপ আছে, অঙ্কপাত আছে, অনুপাত আছে। মানুষের মূৰ্ত্তিতে ত মাপ পাইবার বো নাই। তারপর যদি মানুষ দেখিয়া মুক্তি গড় হয়, সে একরকম হয়, যেমন দেখি তেমনি গড়ি। এ ছবি দেখিয়া গড়া, এ আরও কঠিন। ছবিতে কেবল অ্যাড় ও দীঘ আছে । মুক্তির আবার একটা বোধ আছে। সেটা ছবি দেখিয়া ঠিক ঠিক পাওয়া যায় না । সুতরাং আমাদের অনেক কষ্ট করিয়া সেটি অনুমান করিয়া লইতে হয় । তা মা তুমি এখানে আছ, আমায় সময়ে সময়ে সাহায্য করিও। শুনিয়াছি, আমি যাহার ছবি গািড়তেছি, তিনি তোমার স্বামী । যদি সময়ে সনয়ে মুক্তিটি পরীক্ষা করিয়া আমায় উপদেশ দাও, কাজ একটু শীঘ্ৰ হইতে পারে।” মায়া কিন্তু যতবার উপদেশ দিতে যান, ক্ৰমেই। আরও দেরী হইয়া যায়। অনেক সময় কুমার তাহার কথার ভাব ঠিক বুঝিতে পারে না, উল্টা করিয়া ফেলে ; আবার সেটা শোধরাইতে সময় যায়। এইরূপে মায়া স্বামীর মুক্তি-নিন্মাণে সাতায্য করুন, ওদিকে সাতগায়ে কি হইতেছে আমরা দেখিতে যাই । 9 মায়ার চলিয়া যাইবার কথা দু-এক দিনের মধ্যেই সাতগায়ে রাষ্ট্র হইয়া গেল। কেহ কেহ বলিল, ক’ড়ে রাড়ী বেরিয়ে গিয়েছে । অনেকেই So 8