পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাবিহার ও গঙ্গার মধ্যস্তলে মহাসভা হইয়া গেল, রূপ রাজার বৌদ্ধরাজ্য নাশ ও হরিবল্মার হিন্দুরাজা স্থাপন হইয়া গেল। বিচারী সাতগা রাজ্যের সমস্ত ভার পাইল, লোকে খুব খৃসী হইল ; কিন্তু অনেকের আবার এই সকল ব্যাপারে মাম্মান্তিক হইল। বৌদ্ধ যাহারা ছিল, তাহাদের তি রাজা গেল, রাজা গেল, দেশে যে দাবাদবা ছিল, সেটি গেল, মহাবিহাবি ও গাত প্ৰায়, তাহারা বড় খুন্সী হইতেই পারে না । এখন আবার এক সভা হইবে । সেটা রাজার খাস সভা, তাহাতে সাতগা-রাজ্য বাটোয়ারা হইবে । যাহার হরিবস্মার সাহায্য করিয়াছেন, তাঙ্গাদের পুরস্কার দেওয়া হইবে। রাজ্যের যাঙ্গাতে সুশৃঙ্খলা হয়, তাহা করিতে হইবে । আর মোট কথাটা, বৌদ্ধেরা যাহাতে মাথা তুলিতে না। পারে, তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে । সুতরাং অনেক লেখাপড়া চাই, অনেক সন্ধান লওয়া চাই, অনেক পরামর্শ চাই, অনেক বিবেচনা চাই । সুতবাং কিছুদিন সকলকে সাতগায়ে থাকিতে হইবে। এই কিছু দিনের মধ্যে তারাপুকুরের কেল্লাটা নূতন করিয়া গড় চাই। ছাউনি, বা উতপাড়া সব নুতন করিয়া বন্দোবস্ত করা চাই । চারিদিকে লোক লাগিয়া গেল । সাতগা বেশ সরগরম রহিল । এই দীর্ঘকাল মহারাজাধিরাজ হরিবল্মা, যদিও বয়স হইয়াছে, মাছ ধরা, কুমীর মারা, ভাঙ্গর ধরা, শীকার করা, বাজ পাখীর খেলা করা, এই সব S RR