পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে শুশুককে মরিতেই হইবে। আর শীকারীরা যেমন করিয়াই হউক, তাহাকে রাজার সামনে আনিয়া উপস্থিত করিবে । শুশুকের তেল বাতের বড় હેસલ eિી তাঙ্গর এক ভয়ানক জন্তু। দেখিতে বড় আড় মাছের মত, মুখের গোড়া থেকে দু’খানা হাড় বাহির হইয়াছে, হাড় দু’খানার দু’ধারে দু’সারি করিয়া দাত ; উপর-নীচের চারি সারি দাত একত্র হইলে চারখানা করাতের কাজ করে । চাঙ্গরে কাটিলে তাই করাত-কাটার মত পরিস্কার কাটা দেখা যায়। রাজাধিরাজের শব্দভেদী বাণে অনেক হাঙ্গর, আপন হাঙ্গর লীলা সংবরণ করিয়া, বহুসংখ্যক নিরীহ মনুষ্য ও জীবজন্তুর বাচিয়া থাকার कोद्भ१ डझेंद्रछिद्र । নৌকায় বাচখেলা মহারাজের আর এক আমোদ ছিল। বড় বড় জাহাজ লইয়া বাচাখেলা হইত। এ নৌকা পলাইতেছে, আর একখানা তাহার পিছন লইয়াছে । আর একখানা প্ৰথমপানাকে রক্ষা করার জন্য যাইতেছে। একখানা ঘুরিয়৷ মতাবেগে আসিয়া প্রথম ও দ্বিতীয়খানার মাধো দাড়াইয়া প্ৰথমখানার পলাইবার পথ করিয়া দিতেছে। জল তোল পাড় হইয়ু যাইতেছে। জলজন্তু সব ভয়ে পলাইতেছে ও ভাসিয়া যাইতেছে। জলজন্তুৰ পিছনে আবার ডিঙ্গী, পানসী, বাশা, বল্লম লইয়া ধাওয়া করিতেছে । এই সব লইয়া মহারাজাধিরাজের দিন কাটিতে লাগিল ; কিন্তু তিনি রাজকাৰ্য্যে অবহেলা করিতেন না । যে কেহ দেখা করিতে আসিত, তাহাকেই আপায়িত করিতেন, তাহার কি বলিবার আছে, শুনিতেন ! অনেক সময় ডাঙ্গায় উঠিয়া সিপাহীদের কুচকাওয়াজ দেখিতেন। একদিন তারাপুকুরে মেরামত দেখিতেও গিয়াছিলেন । তঁাঙ্গার সৈন্তাগণ সৰ্ব্বদাই সাতগায়ে আলিগুলী কুচ করিয়া যাইত। শুধু যে সৈন্যরাই যাইত, এমন WOR